বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে অবশেষে তিনদিন পর বাবা-মায়ের কোলে ফিরেছে ২২ দিনের শিশু চাঁদনী খাতুন। গত সোমবার ‘সুদি মহাজনের চাপে শিশু সন্তান বিক্রি’ শিরোনামে একটি সংবাদ প্রকাশ হলে প্রশাসনসহ বিভিন্ন পর্যায়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। এরপর প্রশাসন শিশুটিকে উদ্ধারে মাঠে নামে।
বুধবার দুপুরে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ পিএএ আনুষ্ঠানিকভাবে শিশুটিকে তার বাবা রেজাউল করিম ও মা ফুলজান বেগমের হাতে তুলে দেন। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, বড়াইগ্রাম থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলাম, নগর ইউপি চেয়ারম্যান নীলুফার ইয়াসমিন ডালু, বড়াইগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাব সভাপতি যুগান্তর প্রতিনিধি অহিদুল হক, যুগ্ন সম্পাদক মোহাম্মদ আলী গাজী, সাংবাদিক আবু মুসাসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় জেলা প্রশাসক মোঃ শাহরিয়াজ শিশুটির পিতামাতাকে তাৎক্ষণিক ১০ হাজার টাকা, ফলমুল, শুকনা খাবার ও একটি অটোভ্যান প্রদান করেন। একই সঙ্গে তাকে মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে গৃহহীনদের জন্য বরাদ্দকৃত একটি বাড়ি বরাদ্দ দেয়াসহ তার ঋণ পরিশোধের ব্যবস্থা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
প্রসঙ্গত, গত রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার নগর ইউনিয়নের কয়েন গ্রামে সুদি মহাজনের টাকা পরিশোধের চাপে বাধ্য হয়ে ২২ দিন বয়সী শিশু কন্যা চাঁদনী খাতুনকে এক লাখ ১০ হাজার টাকার বিনিময়ে বিক্রি করে দেন ভ্যানচালক বাবা।