সাড়াশি অভিযানে আবারো ঈশ্বরদীতে অবৈধ বালুবোঝাই ৩টি ড্রামট্রাকসহ ৩ জনকে আটক করেছে ঈশ্বরদী থানা পুলিশ।
মঙ্গলবার (২ই মার্চ) বিকেলে ঈশ্বরদীরসাহাপুর মসজিদ মোড় সংলগ্ন স্থানে পুলিশি চেকপোস্টের মাধ্যমে পৃথক অভিযানে এ ড্রামট্রামগুলো আটক করেন।
পুলিশসূত্রে জানা যায়, উপজেলার লক্ষীকুন্ডা ইউনিয়ন থেকে বালুবোঝাই ড্রামট্রাক গুলো রূপপুর মােড়ের দিকে আসার সময় ট্রাক গুলোকে সংকেত দিয়ে রাস্তার উপর থামানো হয় । এসময় তাদের কাছে বালুর উৎস সম্পর্কে জিজ্ঞেস করলে এবং নদী হতে বালু উত্তোলনের বৈধ কাগজপত্র দেখতে চাইলে তা দেখাতে ব্যর্থ হয়।
ইজারা সংক্রান্ত কোন কাগজপত্র বা পরিবহনের কোন বৈধ কাগজপত্র দেখাইতে না পারায়এসময় তিনটি ড্রামট্রাকসহ ৩ জনকে আটক করা হয়। ধৃত আসামীরা হলেন, পাবনা জেলার চাটমোহর থানার জবেরপুর গ্রামের আবুল কাশেমের ছেলে মীর হোসেন (৩৫), ঈশ্বরদী উপজেলার বাঁশেরবাদা গ্রামের রহমত আলীর ছেলে তাজুল ইসলাম সাগর (৩৪), প্রতিরাজপুর গ্রামের আকবর আলীর ছেলে ভোলা (৩৭)।
পলাতক আসামী বিলকেদার গ্রামের মৃত সাবুরের ছেলে মোসলেম উদ্দিন (৬০), একই গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলে আমিরুল ইসলাম (৪০), দাদাপুর গ্রামের মুন্টু বিশ্বাসের ছেলে হিরাজ (৩৫), আকবর আলীর ছেলে জনি (৩৮), আকাদ মন্ডলের এর ছেলে সানা মন্ডল (৪০) আকছেদ মণ্ডলের ছেলে রাকিব মন্ডল (৪৫) মৃত কুরমান সরদারের ছেলে জমসেদ সরদার (৫৫) ও আজমল মালিথা (৫০) সহ ধৃত ও পলাতক এবং অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে বালু ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ এর ১৫ ( ১ ) ধারায় ঈশ্বরদী থানায় ২ টি মামলা রুজু করা হয়েছে। মামলা নং ৩ ও ৪। আটককৃত আসামীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরন করা হয়েছে।
জানা গেছে, ঈশ্বরদী থানাধীন রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র , লালনশাহ সেতু , হার্ডিঞ্জ ব্রীজ সহ পদ্মা নদীর তীর সমুহ হুমকির মুখে ফেলে চক্রটি দীর্ঘদিন যাবৎ অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও পরিবহন করে আসছিলো।