তুমি গুপ্তের চেয়েও গুপ্ত গোপন প্রেমে মহাগুপ্ত!
তুমি মরমী মহা-ভাববাদী ও চৌকস জ্ঞানে স্বাধীন দ্যুতি মুক্ত-
তুমি সার্বজনীন রঙ্গিলা এক মহাপ্রেমের অক্ষয় অনাদি জ্যোতির্ময়!
তোমার আঁধার থেকেই অন্ধ বিশ্বাস অকল্যাণের যত ক্ষয়,
তোমার গোড়ামী থেকেই অশুভ জীবন যাত্রা সমাজ অবক্ষয়।
তুমি কখনো আমাদের সাথে,আবার কখনো তাহাদের সাথে!
তুমি কখনো ধর্মের ন্যায়-পরায়ণ জীবনকে করো সুস্থ।
আবার কখনো অধর্মের নিগূঢ় রহস্যে তুমি গোপন মর্মভেদে দুস্থ!
তুমি কখনো আদম সুরতকে দান করো রাজ্য,
আবার তাকেই বানাও রাজা মহারাজা।
আবার তুমি ইচ্ছে করলেই মুহূর্তের পাপে আগে ও পিছে,
সেই রাজাকে অপমান ও লাঞ্চিত করো কঠিন সাজা।
আর তার রাজ্য কেড়ে নাও তাকেই বানাও দাস প্রজা!
আদম সুরততো তোমারই সৃষ্টির ভাই ভাই সংসার।
আবার তারা শত্রুতা করে রক্ত ঝরায় বিপন্ন অনাহার।
ইতিহাস যেন লিখে যায় ঘটনার দিন,
আর হাজারও রাত্রির করুন যন্ত্রণা।
তোমার তত্ত্বের গভীরে তুমিই অসীম,
আবার তোমার জ্ঞানের গভীরে তুমিই ক্ষুদ্র বান্দা সসীম!
তুমি তোমারই আদেশ অবয়ব সুরত নূরে
তোমাকেই করো সেজদা মারফত নিগূঢ় জ্ঞানে বিভোর!
তুমিই মহা-রঙ্গ-রঙ্গিলা এই একই মৃত্তিকায়
ফুল ফোটাও লাল নীল হলুদ সবুজ সাদা কতো পরিচয়!
সৃষ্টি করো কতো নদী সাগর পাহাড় পর্বতচূড়া দূর্জয়।
কতো রূপ ও রঙের ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে
তুমিই মহাজ্ঞানী তুমিই মহাপ্রেমে মহা-রঙ্গিলা!
তুমি প্রাসাদের অন্ধকারে থাকো জীর্ণ,
আবার তুমিই গলির কালো আঁধারে থাকো শীর্ণ!
ভালোবাসার অশ্রু বিরহ প্রেমে ব্যাকুল বিষণ্ণ।
তুমি কখনো ছোট গলির কুটিরে থাকো বিদগ্ধ বিবেক,
আবার তত্ত্বজ্ঞানে অনির্বাণ শিখা জ্বালাও প্রেমময় নূরে অবাক।
ঐ দূর আসমান দেশে তারারা ঘর বাঁধে,
সারি সারি ঝাঁক ঝাঁক জীবনের কতো নব নব সাধ!
আকাশে চন্দ্র সূর্য গ্ৰহ নক্ষত্র ধুমকেতু একা একা জ্বলে সংস্কার।
আর তোমাকে খুঁজে পাওয়া জন্য তাঁরা,
আগুনে জ্বলে পোড়ে বিচ্ছেদ বিরহ ধারা,
কিন্তু অখণ্ড সার্বজনীন তুমি রঙ্গিলা প্রেমে মহা-দীপ্তকর।