নাটোরের গুরুদাসপুরে গ্রামের কলেজ শহরে নিয়ে যাওয়াসহ জজ কোর্ট, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে অধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারিত সাঈদুল ইসলাম সাঈদের বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগে তিনি অধ্যক্ষ নয় বলে নাটোরের সহকারি জজ কোর্ট গত ৮ নভেম্বর এই রায় দিয়েছেন। এ ব্যাপারে সাঈদ হাইকোর্টে আপিল করলেও বিজ্ঞ আদালত তার বিরুদ্ধেই রায় দেন। সেই সাথে গুরুদাসপুর শহর থেকে নাজিরপুর ইউনিয়নের বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামেই পূর্বের ন্যায় সরকারি বঙ্গবন্ধু টেকনিক্যাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কলেজের কার্যক্রম চালানোর রায় দেন বিজ্ঞ আদালত। বর্তমানে ওই কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে রয়েছেন মো. বাবুল আক্তার।
কোর্ট কর্তৃক অধ্যক্ষ পদ থেকে অপসারিত সাঈদ বলেন, জজ কোর্টের রায় একতরফা। আমি এ ব্যাপারে ছানি মামলা করেছি। মামলাটি চলমান রয়েছে। কারিগরি শিক্ষাবোর্ড অধ্যক্ষ পদের ব্যাপারে ৫০ দিবসের মধ্যে রায় দেবে। গুরুদাসপুর শহরে কলেজ রাখার জন্য হাইকোর্টে ৬৩৪৩ নম্বরে রিটপিটিশনও করা আছে।
কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি যুবলীগ নেতা জালাল উদ্দিন শাহ বলেন, বেড়গঙ্গারামপুর গ্রামে আমাদের দান করা নিজস্ব ১০৭ শতক জমির উপর বঙ্গবন্ধুর নামে ২০০৯ সালে কলেজটি প্রতিষ্ঠা করেছি। এতে গ্রামীণ জনপদের সুবিধা বঞ্চিত ছেলেমেয়েরা কারিগরি শিক্ষার সুযোগ পাবে। কিন্তু প্রায় ৫ বছর আগে সাঈদ কলেজটির অধ্যক্ষ থাকাকালীন ষড়যন্ত্র করে গুরুদাসপুর শহরের ভাড়া করা জায়গায় আনেন। স্থানীয় সংসদ সদস্যের প্রভাবে সাঈদ কলেজটি নিয়ে ছিনিমিনি খেলছেন।
স্থানীয়রা জানান, বেড়গঙ্গারামপুর থেকে গুরুদাসপুরে কলেজটি নিয়ে যাওয়া সম্পূর্ণ বেআইনি ও অন্যায়। এ নিয়ে আমরা যুদ্ধ চাইনা। গ্রামের কলেজ গ্রামেই চাই।
এ ব্যাপারে কলেজটির সভাপতি গুরুদাসপুরের ইউএনও মো. তমাল হোসেন বলেন, কলেজ স্থানান্তরের বিষয়ে আপিল চলমান রয়েছে। তাছাড়া সার্বিক বিষয়ে তদন্ত করে রিপোর্ট পেশ করতে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।#