নওগাঁ জেলায় ৬টি উপজেলার ৪৯টি ইউনিয়নে বাংলাদেশে গ্রাম আদালত সক্রিয়করন ২য় পর্যায়ের প্রকল্প বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্প শুরু ২০১৭ সালের জুলাই থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারী পর্যন্ত জেলায় এসব গ্রাম আদালতে ১৫ হাজার ৭শ ৮৮টি মামলা লিপিবদ্ধ হয়েছে। এর মধ্যে ইউনিয়ন পরিষদে সরাসরি লিপিবদ্ধ হয়েছে ১৫ হাজার ৩শ ৬৭টি এবং আদালত থেকে প্রেরন করা হয়েছে ৪২১টি মামলা।
এর মধ্যে নিষ্পত্তি হয়েছে ১৫ হাজার ২শ ৬২টি মামলা। নিষ্পত্তির হার শতকরা ৯৯ দশমিক ৩১ শতাংশ। নিষ্পত্তিকৃত মামলাগুলো থেকে গ্রাম আদালতের মাধ্যমে সর্বমোট ক্ষতিপূরণ আদায় হয়েছে ৮ কোটি ৪৯ লক্ষ ৯৪ হাজার ১৮৪ টাকা। আদায়কৃত ক্ষতিপূরণের মধ্যে ফৌজদারী ও দেওয়ানী মামলা থেকে সরাসরি আদায় হয়েছে ৩ কোটি ৬১ লক্ষ ৪৯ হাজার ৪৫৮ টাকা এবং ৪ কোটি ৭৪ লক্ষ ৭ হাজার ৯২৬ টাকা মুল্যের ৪০৮৫ দশমিক ৯১ শতক জমি উদ্ধার করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে নওগাঁ জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে জেলা প্রশাসন আয়োজিত বাংলাদেশ গ্রাম আদালত সক্রিয়করণ দ্বিতীয় পর্যায় প্রকল্পের আওতায় ” গ্রাম আদালত আইন ও নারী বান্ধব গ্রাম আদালত সম্পর্কে গণ মাধ্যম কর্মীদের অবহিত করন সভায় ” এই তথ্য জানানো হয়েছে।
স্থানীয় সরক্রা পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রনালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ কর্ত্তৃক বাস্তবায়িত এই প্রকল্পের আওতায় জেলা প্রশাসন এই অবহিতকরণ সভার আয়োজন করে। স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক গোলাম ম্ঃো শাহনেওয়াজ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোঃ হারুন-অর-রশিদ।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি বিশ্বজিৎ সরকার মনি, এ্যাড শেখ আনোয়ার হোসেন, মোঃ কায়েস উদ্দিন, এ এস এম রায়হান আলম, বেলায়েত হোসেন, সাদেকুল ইসলাম, শফিক ছোটন, এস এম কামাল হোসেন, সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি এ্যাড. শহিদ হাসান সিদ্দিকী স্বপন, সাংবাদিক কামাল উদ্দিন টগর, প্রকল্পের ফ্যাসিলিলেটর শরিফুল ইসলাম, উপকারভোগিদের মধ্যে মহাদেবপুর উপজেলার রাইগাঁ ইউনিয়নের তারা বানু এবং মোঃ জুয়েল হোসেন। সভায় প্রায় ৫০ জন সাংবাদিক অংশগ্রহন করেন।