ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে জিতে তৃতীয় বারের জন্য মমতা ব্যানার্জির তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসবে? না-কি বিজেপি কিংবা সিপিএম-জাতীয় কংগ্রেসের জোট? পশ্চিমবঙ্গের মানুষের রায় কোন দিকে? জানা যাবে আগামী ২ মে। ঐ দিন হবে ভোট গণনা। একই দিনে আসাম, তামিলনাডু, কেরালা ও পন্ডিচেরিরও ফল জানা যাবে। শুক্রবার ভারতের নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে, পশ্চিমবঙ্গে আট দফায় হবে ভোটগ্রহণ। প্রথম দফার ভোটগ্রহণ ২৭ মার্চ থেকে। ভোটগ্রহণ শেষ ২৯ এপ্রিল। এ নিয়ে প্রতিবাদে সরব হয়েছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। তার অভিযোগ, তামিলনাড়ু, কেরালায় এক দফায় ভোট হচ্ছে অথচ পশ্চিমবঙ্গে আট দফায়, কেন?
মমতা বলেন, বিহারে ২৪০টি আসনে তিনটি দফায় নির্বাচন হলো। আসামে তিন দফায় হবে। তামিলনাড়ুতে ২৩৪টি আসনে এক দিনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। কেরালায় সিপিএমের সরকার, সেখানেও এক দফায়। অথচ পশ্চিমবঙ্গের ২৯৪টি আসনে আট দফায়। তার অভিযোগ, বিজেপির কথাতেই আট দফায় নির্বাচন করা হচ্ছে। এরপরই ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে চ্যালেঞ্জ করে মমতা বলেন, ৩০ দিনের খেলা খেলবেন? আমাদের কিছু যায় আসে না। হারিয়ে ভূত করে দেব। বাংলার নিজের মেয়ে মমতা ব্যানার্জি বলছি, পশ্চিমবঙ্গকে আমি ভালো চিনি। এ রাজ্যকে অশান্ত করার চেষ্টার জবাব দেবে জনতা। বহিরাগত গুন্ডারা বাংলা শাসন করবে না। আমরাই জিতব।
পালটা বিজেপির তরফে শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, মানুষের স্বার্থেই পশ্চিমবঙ্গে আট দফায় ভোট হচ্ছে। সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম বলেছেন, আট দফায় ভোট হোক, আপত্তি নেই। কেবল সব দফায় যেন স্বচ্ছভাবে ভোটগ্রহণ হতে পারে তা নিশ্চিত করতে হবে।শুক্রবার ভারতের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল আরোরা জানিয়েছেন, একজন প্রার্থী সর্বোচ্চ ৩০.৮০ লাখ টাকা খরচ করতে পারবেন। ৮০ বছরের ঊর্ধ্বে বয়স এমন ব্যক্তিরা পোস্টাল ব্যালটে ভোট দিতে পারবেন। বাড়ি বাড়ি প্রচারে প্রার্থীসহ সর্বোচ্চ পাঁচ জন যেতে পারবেন। রোড শোয়ে একসঙ্গে পাঁচটির বেশি গাড়ি থাকতে পারবে না। করোনা বিধি মেনেই নির্বাচন হবে।