নাটোরে পুলিশ হেফাজতে বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের দুই নেতাকে নির্যাতনের অভিযোগ ওসির বিরুদ্ধে

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরে পুলিশ হেফাজতে বৈষম্যবিরোধি ছাত্র আন্দোলনের দুই যুগ্ন আহবায়ককে সিংড়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধের নির্মমভাবে নির্যাতনের অভিযোগ তুলে সংবাদ সম্মেলনে করেছেন নির্যাতিতরা। এসময় সিংড়ার থানার ওসি আসমাউল হক সহ সকল পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানান তারা। পাশাপাশি ঈদের পর ওসি সহ দায়ি পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করার ঘোষণা দেন বৈষম্য বিরোধি শিক্ষার্থীরা।

শনিবার(২৯ মার্চ) রাত ৯টার দিকে শহরের লালবাজারের একটি কমিউনিটি সেন্টারে বৈষ্ণব বিরোধী ছাত্র আন্দোলন নাটোর জেলার নেতৃবৃন্দরা এই সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, গত ২৪ মার্চ রাতে সিংড়ায় যুবদল নেতা সোহাগ এর নেতৃত্বে উত্তর দমদমা এলাকায় ছাত্রদল-যুবদলের চারজন ট্রন্সফরমার চুরি করতে যায়। এসময় স্থানীয়রা আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে। এই ঘটনায় বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোলনের দুই যুগ্ম আহবায়ক উদয় মিজান ও আদনান পুলিশ কে সহযোগিতার জন্য সিংড়া থানায় যায়। এসময় সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক সহ ৩০/৩৫জন পুলিশ তাদের আটককে রেখে নির্যাতন করে। এসময় শরীরের বিভিন্নস্থানে কালশিরা পড়ে যায়। পরে বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোলনের জেলা নেতৃবৃন্দ গিয়ে বন্ডসই দিয়ে থানা থেকে ছাড়িয়ে নেয়। হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে আজ রাতে এক সংবাদ সস্মলে নির্যাতিতরা সিংড়া থানার ওসি আসমাউল হক সহ দায়ি পুলিশের বিরুদ্ধে বরখাস্তের দাবি জানান।

বৈষম বিরোধী আন্দোলন নাটোর জেলা শাখার যুগ্ম আহ্বায়ক ভুক্তভোগী আদনান বলেন, সেদিন আমরা ঘটনাটা কি সেটা জানতেই থানায় গিয়েছিলাম। প্রথমে পুলিশের গাড়ি থানায় ঢুকে তারপর আমরা ঢুকি। কোনো কারণ ছাড়াই থানার গেট থেকে আমাদের মারতে মারতে থানার ভেতরে নিয়ে যায়। আমাকে মারতে মারতে বলে যে ‘তোকে মেরে ফেলবো’। কেউ লাঠি দিয়ে মারে, কেউ পাইপ দিয়ে মার, কেউ চড় মারে কেউ লাথি মারে। আমি এই ঘটনায় বিচার চাই।

সংবাদ সম্মেলনে বৈষম্য বিরোধি ছাত্র আন্দোলন নাটোর জেলার আহবায়ক আব্দুস সামাদ শিশির ও যুগ্ম আহবায়ক ওবায়দুল্লাহ মিম সহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে সিংড়া থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত)রফিকুল ইসলাম বলেন, অভিযোগকারী নির্দোষ লোকজনকে চোর সাজানোর চেষ্টা করেছিলে। তারা নিজেরা দোষ করে এখন বিষয়টা ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার চেষ্টা করছে। ঘটনা আসলে তেমনটা নয়। পুলিশ কাউকে কোন নির্যাতন করে নি। তবে এই বিষয়ে বিস্তারিত বলতে পারবেন অফিসার ইনচার্জ নিজেই। উনি ছুটিতে আছেন।