মিয়ানমারে ৭.৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর মৃতের সংখ্যা বেড়ে এক হাজারেরও বেশি দাঁড়িয়েছে। শনিবার (২৯ মার্চ) সবশেষ ধসে পড়া বেশ কয়েকটি ভবনের ধ্বংসস্তূপ থেকে আরও মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
দেশটির জান্তা সরকার এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ১০০২ জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। আরও ২,৩৭৬ জনের বেশি আহত হয়েছে। আপাতত ৩০ জন নিখোঁজের খবর রয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, এসব সংখ্যা বাড়তে পারে। বিস্তারিত পরিসংখ্যান এখনো সংগ্রহ করা হচ্ছে।
পার্শ্ববর্তী দেশটি ইতোমধ্যেই একটি দীর্ঘস্থায়ী এবং রক্তাক্ত গৃহযুদ্ধের কবলে পড়ে বিশাল মানবিক সংকটে পড়েছে। নতুন করে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগের কবলে পড়ে চলমান সঙ্কট আরও কঠিন এবং বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। ত্রাণ প্রচেষ্টাও জটিল হয়ে উঠেছে, যার ফলে মৃতের সংখ্যা দ্রুত বৃদ্ধি পেতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে।
গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে ভূমিকম্পটি আঘাত হানে, যার উৎপত্তিস্থল মান্দালয়ের খুব কাছেই ছিল। এরপর বেশ কয়েকটি আফটারশক অনুভূত হয়, যার মধ্যে একটি ছিল ৬.৪ মাত্রার। এর ফলে অনেক এলাকার ভবন ধসে পড়ে, রাস্তাঘাট ভেঙে পড়ে, সেতু ভেঙে পড়ে এবং বাঁধ ভেঙে যায়।
রাজধানী নেপিদোতে শনিবার ক্ষতিগ্রস্ত রাস্তা মেরামতের জন্য কর্মীরা কাজ করছেন। যদিও শহরের বেশিরভাগ অংশে বিদ্যুৎ, ফোন এবং ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ।
ভূমিকম্পের ধসে পড়া ভবনগুলোর মধ্যে সরকারি কর্মকর্তাদের থাকা জায়গা ছিল – এমন একাধিক ইউনিটও রয়েছে। এছাড়া শহরের বড় একটি হাসপাতাল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
থাইল্যান্ডে ক্ষতি
এই ভূমিকম্পের প্রভাবে থাইল্যান্ডের প্রায় ১ কোটি ৭০ লাখ মানুষের আবাসস্থল ব্যাংকক এবং দেশের অন্যান্য অংশও কেঁপে ওঠে।
ব্যাংকক শহর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ছয় জনকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। এছাড়া ২৬ জন আহত এবং ৪৭ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছে।
নিহত ও নিখোঁজদের বেশিরভাগই রাজধানীর চাতুচাক বাজারের কাছে একটি নির্মাণাধীন বিধ্বস্ত ভবনের। শনিবার ধ্বংসস্তূপ সরানোর জন্য আরও ভারী যন্ত্রপাতি আনা হয়েছে।