একুশে ফেব্রুয়ারিতে আড়ম্বরপূর্ণভাবে শহরের উপজেলা সড়কের পাশে নির্মিত মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন হস্তান্তর ও কার্যক্রম শুরুর উদ্বোধন করা হয়েছে। এই উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পাবনা-৪ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নুরুজ্জামান বিশ্বাস।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব নায়েব আলী বিশ্বাস, পৌরসভার মেয়র ইছাহক আলী মালিথা। সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার পিএম ইমরুল কায়েস।
এসময় অন্যানের মধ্যে সাবেক সংসদ সদস্য মঞ্জুর রহমান বিশ্বাস, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আতিয়া ফেরদৌস কাকলী, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আব্দুল খালেক, সাবেক কমান্ডার গোলাম মোস্তফা চান্না, উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ রশীদুল্লাহ, বীরমুক্তিযোদ্ধা ফজলুর রহমান ফান্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা হবিবুল ইসলাম হব্বুল উপজেলা প্রকৌশলী এনামুল কবির, যুবলীগ নেতা দোলন বিশ্বাসসহ মুক্তিযোদ্ধা, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিকসহ সুধীজন উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, উপজেলা পরিষদ সড়কের দক্ষিণ প্রান্তে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে এই মুক্তিযোদ্ধা ভবন কমপ্লেক্সের নির্মান শুরু হয়। নির্মান সমাপ্তির পর ২০১৯ সালে অক্টোবরে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবনটি স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের ঈশ্বরদী কার্যালয়ে হস্তান্তর করা হয়। ২০১৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পাবনা সফরকালে ঈশ্বরদী মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন উদ্বোধন করেন।
কিন্তু নানা কারণে কমপ্লেক্স হস্তান্তর না হওয়ায় কার্যক্রম শুরু সম্ভব হয়নি। অবশেষে ঈশ্বরদীর ইউএনও ইমরুল কায়েস এবং উপজেলা প্রকৌশলী উদ্যোগী হয়ে কমপ্লেক্স ভবনটির যাত্রা শুরুর চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী একুশে ফেব্রুয়ারী রবিবার ভবনটি হস্তান্তরের মধ্য দিয়ে কার্যক্রম শুরুর উদ্বোধন করা হয়েছে।
ঈশ্বরদী উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, মুক্তিযোদ্ধা মন্ত্রণালয়ের অর্থায়নে এই ভবনটির নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন করেছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর পাবনা। ঈশ্বরদী উপজেলা প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত¡াবধানে ১ কোটি ৯৬ লাখ টাকা ব্যয়ে কমপ্লেক্সটির নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেছে ঐশী কনস্ট্রাকশন নামে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। ১০ শতক জমির ওপর নির্মিত চারতলা ভিত্তির তিনতলা কমপ্লেক্স ভবনের সম্মুখে রয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল, নিচতলা ও দ্বিতীয় তলা বাণিজ্যিকভাবে ব্যবহারের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে দোকানঘর। তৃতীয় তলায় মুক্তিযোদ্ধাদের অফিস, হলরূম, টয়লেট, লাইব্রেরি ও মিউজিয়াম রয়েছে।
স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরে হলেও ঈশ্বরদীতে মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স ভবন পেয়ে মুক্তিযোদ্ধারা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন।