চিঠিগুলোর চেতনা

এনামুল হক টগর
এখনো চিঠিগুলো হৃদয়ে গভীরে সময়েরকথা বলে ও প্রাণের চেতনা আনে বিস্ময়।এখনো চিঠিগুলো তোমাকে আমাকে খোঁজে, জীবনের অতন্দ্র প্রহরে প্রহরে ভালোবাসার বিমগ্ন সাঁঝে।প্রেমের স্বপ্নস্বচ্ছতার বাসনা বিরহে তুমি ঘুমিয়ে আছো এই বিদগ্ধ দেহে!এক অস্পষ্ট অতীত স্মৃতিগুলো বুকেনিয়ে বিচ্ছেদ বেদনায় ক্লান্ত নির্বাক?হৃদয় বৈদগ্ধ্যের গভীরে কতো আবেগকতো আপ্লুত প্রেম ভালোবাসা বিবেক।জীবন যদিও কখনো কখনো ইতিহাস ভুলে যায়,তারপরও এই জীবনই ফিরে যায়,ইতিহাসের কাছে বার বার পুনরায়।কতো গোড়ামী কতো অন্ধ বিশ্বাসকতো জীর্ণ আঁধার আগে পিছে সহসা!এই প্রাণের অন্তর্দাহে প্রিয়তম তুমিবিলাপ করো জন্ম-জন্মান্তরের ভূমি।পানির স্রোতে পৃথিবী ভাসে,জলের নিচেই আমি স্থল!নির্জন অরণ্যে ঝাঁক ঝাঁক পাখি উড়ে নীলমহাসমুদ্রের উপরেই তুমি থই থই জল!নিরুপায় ঝড় তুফানে কঠিন সময়আমাদের জন্য অপেক্ষা করে নিষ্ঠুর নির্দয়।অফুরান রাতের আকাশে তারারা মিট মিট করে জ্বলে পূর্বাভাস সংস্কার!সেই পুরনো দিনের চিঠিগুলোআজো বিরহ প্রেমের কথা বলে জ্বল জ্বল।জীবনের চৈতন্য জাগায় বাহান্নর ভাষা,উনসত্তরের গণ-অভ্যত্থাণ একাত্তরের যুদ্ধে স্বাধীনতার আশা,নব্বইয়ের অধিকার আন্দোলনে স্বৈরাচারী বিরোধী সংগ্রাম সমুদোয়।এখন মহাকালের ইতিহাস ও সূর্যোদয়ের সকাল গড়িয়ে,ক্লান্ত দুপুর যেন বিপন্ন সাঁঝে রিক্ত অসহায়!তবুও আমার সত্তার গভীরে তুমিই অনির্বাণশিখার বিভা বিশোধন ও আরাধনার স্মরণ আহ্বান!একদিন গুপ্ত ও গোপন থেকে তুমি প্রকাশ হবে আবহমান সময়,পৃথিবীর সু-ষমবন্টন কর্মজীবী,শ্রমজীবীই তোমার পরিচয়।এক জীর্ণ কঠিন আঁধার ভেঙেতুমি জেগে উঠবে বিচিত্র আলোর রঙে!যদিও পৃথিবীর দানবরা নিষ্ঠুর সন্ত্রাসী ও নির্মম অস্ত্রধারী!আমাদের বুকে গুলি চালাবে ভয়ংকর।তখন মৃত্যুর ধ্বনি কেঁদে উঠবে,বড় প্রাসাদ ও ছোট গলির কুটিরে নিরবে।বেদনার অশ্রু নয়নে ভাসবে,চন্দময় আকাশ,সমুদ্র,নদী,নক্ষত্র আজব!তাঁর বুকেই তুমি জ্বলবে অনাবিল সেবা। আলোর তারকা ও গ্ৰহ জ্যোতির্ময় সজিব!কিন্তু প্রেমই হবে আমাদের মাতৃভূমিরধুলোবালিতে মাখা ভালোবাসার জীবন তরী।সহস্র বছরের বাঁধাগুলো ভেঙে চিঠিগুলোজেগে উঠবে নিপুণ জ্ঞানের স্বচ্ছ আলো!সহস্র বছর পর যৌবনের নোনাজল ক্ষয় করে,আমাদের মিলন হবে মধুময় বিভোর।আমরা আবার নতুন করে স্বপ্ন ও বাসনারবীজ বপন করবো নিপুণ আলোর।তখন পৃথিবীর উষর জমিতে ফসল ফলবেআর বাতাসে সেই শস্য দোলা দেবে সূর্যের জাগরণে সজিব।