পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার (চলতি দায়িত্ব) কক্ষে চুরির ঘটনা ঘটেছে। রবিবার দিবাগত রাতে ওই কক্ষের জানালার গ্রিল কেটে চুরি করা হয়েছে। তবে চুরির প্রাথমিক ক্ষয়ক্ষতি ও আর্থিক পরিমাণ জানাতে পারেনি স্বাস্থ্য প্রশাসন। এদিকে এ ঘটনায় স্বাস্থ্য প্রশাসন থানা পুলিশের কাছে অভিযোগ না দেয়ায় রহস্যের সৃষ্টি হয়েছে।
হাসপাতালের কর্মচারীরা জানান, রবিবার দিবাগত রাতে কোনো এক সময় হাসপাতালে প্রশাসনিক ভবনের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার কক্ষে গ্রিল কেটে চুরি সংঘটিত হয়। এই কক্ষে কয়েকটি আলমারিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের যাবতীয় গুরুত্বপূর্ণ নথী ও নগদ টাকা সংরক্ষিত থাকে। চোর এসব আলমারি খুলে নথিপত্র এলোমেলো করেছে। তবে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম অফিসে না আসায় সকাল দশটা পর্যন্ত ওই কক্ষে কাউকে প্রবেশ করতে দেয়া হয়নি। এমনকি এ ঘটনায় ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশকেও জানানো হয়নি। এতে চুরির ঘটনাটি অনেকেই রহস্যজনক মনে করছে।
উল্লেখ্য, শামসুল আলম অফিস সহকারীর পদ থেকে কয়েক বছর আগে চলতি দায়িত্বে স্ববেতনে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তার পদ হাতিয়ে নেন। এরপর থেকে তার তদবিরে হিসাব রক্ষণ কর্মকর্তার পদ দীর্ঘদিন শূণ্য থাকলেও অন্য কাউকে পদায়ন করেনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের অন্যান্য কর্মচারীদের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই সমালোচনা চলছে।
চুরির বিষয়ে কথা বলতে হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা শামসুল আলমকে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি।
পরে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানমকে ফোন করলে তিনিও চুরির বিষয়ে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন।
ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের ডিউটি অফিসার এসআই মুরাদ হোসেন বলেন, হাসপাতালে চুরির বিষয় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করা হবে।