ভাঙ্গুড়ায় প্রথম করোনা’র টিকা নিলেন স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই কর্মকর্তা আব্দুল করিম

দেশে প্রথম করোনা টিকা নিয়েছে একজন স্বাস্থ্য কর্মী। এরপরে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা এই টিকা নিয়েছেন। সকলেই আল্লাহর রহমতে সুস্থ আছেন। এমনকি কারোর শরীরে ন্যূনতম পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলে জেনেছি।এরপরেও অনেকেই টিকা নিতে সঙ্কোচ বোধ করছেন। আমাদের স্বাস্থ্য কর্মী সহ অনেকে টিকা পেতে নিবন্ধন করেছেন। কিন্তু প্রথমে টিকা নিতে অন্যরা আগ্রহ দেখাচ্ছিল না। তাই টিকা সম্পর্কে সকলের ভয়-ভীতি দূর করে অনুপ্রাণিত করতে আমি প্রথম টিকা নিলাম। আজ রবিবার পাবনার ভাঙ্গুড়ায় প্রথম করোনা টিকা নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই কর্মকর্তা আব্দুল করিম  এভাবে তার অনুভূতি প্রকাশ করেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সিনিয়র স্টাফ নার্স লাকী বর্মন প্রথম টিকা আব্দুল করিমের শরীরে পুশ করেন। লাকি বর্মনকে সহযোগিতা করেন নার্স সুপারভাইজার হাসিনা পারভীন ও ভিজিটর সৈয়দাতুল কোবরা। এসময় টিকা প্রদানে উৎসাহ জানাতে উপস্থিত ছিলেন পাবনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মকবুল হোসেন, উপজেলা চেয়ারম্যান বাকিবিল্লাহ, পৌর মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দ আশরাফুজ্জামান ও উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিদা পারভীন পাখি। টিকা প্রদান কর্মসূচীর সার্বিক দেখভাল করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম।
এদিকে আব্দুল করিম টিকা নেওয়ার পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম সহ বেশ কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী টিকা নেন। এছাড়া আরো কয়েকজন স্বাস্থ্যকর্মী এদিন টিকা নেবেন বলে জানিয়েছেন উপজেলা স্বাস্থ্য দপ্তর। তবে প্রথম দিনে উদ্বোধনের দেড় ঘন্টা পরেও স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া বাইরের কেউ টিকা নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেননি। যদিও ভাঙ্গুড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসি (তদন্ত) সহ বেশ কয়েকজন সরকারি কর্মকর্তা ও কর্মচারী টিকা পেতে নিবন্ধন সম্পন্ন করেছেন। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার তথ্যমতে এ পর্যন্ত উপজেলায় ১৫১ জন টিকা পেতে নিবন্ধন করেছেন।

টিকা নেয়ার দেড় ঘণ্টা পর আব্দুল করিম জানান, টিকা শরীরে পুশ করার সময় আমি কোনো প্রকার অসুবিধা বোধ করিনি। সাধারণ ইনজেকশনের মতোই মনে হয়েছে। টিকায় কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই বলে মনে হয়। কেননা টিকা নেওয়ার পরে বিশ্রাম না নিয়ে স্বাভাবিক কাজকর্ম করছি। এতে ন্যূনতম অসুবিধা বোধ করছি না। আশা করছি এখন আমাকে দেখে অন্যরাও নির্দ্বিধায় টিকা নিবে।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার হালিমা খানম জানান, প্রথমদিকে টিকা নিতে সকলেই আগ্রহ কম দেখায়। এমনকি নিবন্ধিত ব্যক্তিরাও টিকা নিতে হাসপাতালে আসেনি। তাই আমি সহ স্বাস্থ্যকর্মীরা প্রথম পর্যায়ে টিকা নিচ্ছি। যাতে আমাদের দেখে অন্যরাও টিকা নেয় এবং নিবন্ধন করে।