যশোরের মণিরামপুরের রাজগঞ্জে মোটরসাইকেল ছিনতাইকারী সন্দেহে এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে স্থানীয়রা। হাসপাতালে চিকিৎসার পর যুবকের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় ঐ যুবকের পিতা বাদী হয়ে মণিরামপুর থানায় মামলা দায়ের করেছে। মামলার একজন আসামীকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার সকাল দশটার দিকে রাজগঞ্জ কলেজ রোড টু যশোর চাঁচড়া সড়কের খালিয়া মাঠের ফাঁকা স্থানে ঘটনাটি ঘটেছে। স্থানীয়রা জানায় শনিবার সকাল সাড়ে দশটার দিকে মনিরামপুর উপজেলার হেলাঞ্চী গ্রামের নূর আলমের ছেলে নাইম হোসেন বাড়ি থেকে ডিসকভার মোটরসাইকেল যোগে রাজগঞ্জ বাজার আসছিল। পথিমধ্যে খালিয়া গ্রামের ব্রাক ডিপ নামক স্থানে রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে মোবাইল কথা বলছিল সে। এ সময় পিছন দিক থেকে বাইসাইকেল যোগে আশা উপজেলার মোহনপুর গ্রামের আহসান কবিরের ছেলে বোরহান কবির মোটরসাইকেলের পাশে দাড়িয়ে চালককে বলে তোর মোটরসাইকেল দে, নাহলে আমারে নিয়ে চল এই বলে তার পকেটে থাকা একটি বোতল বের করে। চেতনা নাশক স্প্রে ঔ ছিনতাইকারী ভেবে মোটরসাইকেল চালক মোটরসাইকেলে চাবি নিয়ে দৌড় দেয়। পরে ওই যুবক সাইকেল চালিয়ে রাজগঞ্জ বাজার দিকে চলে আসার সময় পিছন থেকে মোটর সাইকেল ওয়ালা চিৎকার করতে করতে তাকে ধাওয়া করে কিছু সামনে এসে ধরে ফেলে। এ সময় গণধোলাইয়ের শিকার হয় ঐ যুবক। সংবাদ পেয়ে রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এই এস আই অসীম কুমার রায় ঘটনাস্থলে যায় এবং আহত যুবকসহ মোটরসাইকেল চালক/মালিককে তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসে। আহত যুবকের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাৎক্ষণিক মনিরামপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেয় পুলিশ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ রোগীর অবস্থা অবনতি হওয়ায় ঢাকায় রিপোর্ট করেন। রবিবার দিন গত ভোররাতে ঢাকায় নেওয়ার পথিমধ্যে গনধলায়ের স্বীকার ঐ যুবক মারা যান। উল্লেখ্য নিহত যুবক দীর্ঘদিন ধরে মানসিক ভারসাম্য রোগে ভুগছে বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।এ বিষয়ে এস.আই অসীম কুমার জানান, ঘটনার সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে আহত যুবককে উদ্ধার করে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে নিয়ে আসি। অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠায়।বিষয়টি নিয়ে তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর শাহাজান কবির বলেন, নিহতের পিতা মারপিটের ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করেছিল। যুবকের মৃত্যুর পর সেটি হত্যা মামলায় পরিনত হয়েছে। মামলার আসামী নাইম হোসেনকে আটক করা হয়েছে।#