গোলাপগঞ্জ উপজেলার বাঘা ইউনিয়নে ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত পল্লী বিদ্যুতের সাব স্টেশন পরীক্ষা মুলক ভাবে চালু করা হয়েছে। বাঘা বাসীর দীর্ঘ দিনের কাঙ্খিত স্বপ্ন আনুষ্ঠানিক ভাবে বাস্তবায়ন হওয়ায় বিদ্যুৎ গ্রাহকরা বেশ খুশি। বাঘায় শিঘ্রই বিদ্যুৎ বিভাগের উদ্যোগে আরো কয়েক কোটি টাকার উন্নয়ন মুলক কাজ করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়। দীর্ঘ প্রায় ৬ মাস পূর্বে ১০ এমভিএ ক্ষমতা সম্পন্ন সাব স্টেশনের কাজ শুরু হলে গতকাল বিদ্যুৎ বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে পরীক্ষা মুলক ভাবে একটি ফিডার চালু করা হয়। ৪টি ফিডার চালুর পর বাঘা ইউনিয়নে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে নবদিগন্তের সূচনা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
গোলাপগঞ্জ উপজেলার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জন বহুল একটি জনপদ হচ্ছে বাঘা ইউনিয়ন। এখানে পল্লী বিদ্যুতের উদ্যোগে শতভাগ বিদ্যুতায়নের কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে। অত্র ইউনিয়নে পল্লী বিদ্যুতের প্রায় ৮ হাজার গ্রাহক রয়েছেন। খুব শিঘ্রই গ্রাহক সংখ্যা ১০ হাজারের কাছা কাছি পৌছে যাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়। গ্রাহকদের সেবা দানের বিষয়টিকে প্রধান্য দিয়ে বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায় বোর্ড বাঘায় প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সাব স্টেশন নির্মান ও লাইনের আধুনিকায়নের ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহন করে। এরই আলোকে বাঘা ইউনিয়নের মধ্যবর্তী স্থান হাজী আব্দুল আহাদ উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের অদুরে বুরহান উদ্দিন (রহ:) সড়কের পাশে একটি সাব স্টেশন নির্মানের উদ্যোগ গ্রহন করা হলে ভূমি অধিগ্রহন করে প্রায় ৬ মাস পূর্বে নির্মাণ কাজ শুরু হয়। মোট ৪টি ফিডারের এ সাব স্টেশনের ১টি ফিডার গতকাল সোমবার পরীক্ষা মুলক ভাবে চালু করা হয়। বেলা ২টায় কোন ক্রটি ছাড়াই ফিডারটি চালু হলে বৈদ্যুতিক ক্ষেত্রে বাঘায় একটি নতুন অধ্যায় রচিত হয়। শিঘ্রই আরো ৩টি ফিডার চালু হবে বলে গোলাপগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মামুন অর রশীদ প্রতিবেদককে জানান। এসময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের প্রকল্প পরিচালক বিশ্বনাথ শিকদার, সিলেটের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আলতাফ হোসেন চৌধুরী, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর সভাপতি সাংবাদিক আব্দুল আহাদ, সিলেট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার এসএম হাসনাত হাসান, ডিজিএম (কারিগরী) প্রকৌশলী কামাল হোসেন, গোলাপগঞ্জ জোনাল অফিসের ডিজিএম মামুন অর রশীদ সহ আরইবি ও পল্লী বিদ্যুতের কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।