সুজানগর(পাবনা)প্রতিনিধি: পাবনার সুজানগর উপজেলার বর্ষিয়ান রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব প্রয়াত আবুল কাশেম মাস্টারের স্মরণে তার কনিষ্ঠতম পুত্র উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীনুজ্জামান শাহীনের সহধর্মিণী সানজিদা ইয়াসমিন টুম্পা “আবুল কাশেম ফাউন্ডেশন” নামে একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এই ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর মানুষের বিভিন্ন ধরণের সাহায্য সহযোগিতা করা হয়। আবুল কাশেম ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু ও অসহায় মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। রোববার সকালে পৌরসভার ১ ও ২ নং ওয়ার্ডের প্রতিবন্ধী ও অসহায় অর্ধশতাধিক মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক সানজিদা ইয়াসমিন টুম্পা। শীতবস্ত্র বিতরণ কালে সানজিদা ইয়াসমিন টুম্পা বলেন, সমাজের অবহেলিত জনগোষ্ঠীর আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আমার শশুড়ের নামে এই ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছি, আমার শশুড় ছিলেন বরেণ্য একজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সুজানগর উপজেলা বাসীর জন্য এক নিবেদিত প্রাণ, তিনি সব সময়ই সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতেন, অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো ছিল তার মহৎ উদ্দেশ্য,সব সময় তিনি সাধারণ মানুষের সেবা করে গেছেন,তাই আমার ক্ষুদ্র প্রয়াস, তার স্মরণে সমাজের অসহায় শিশু ও নারী, পুরুষের জন্য কল্যাণকর কিছু করতে পারি এই লক্ষ্যে ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেছি। উল্লেখ্য ১ অক্টোবর-২০১৭ ইং বর্ষিয়ান এ নেতা অসুস্থ হয়ে চিরবিদায় নেন, মরহুম আবুল কাশেম মাস্টারের প্রথমে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা মাধ্যমে কর্ম জীবন অতিবাহিত হলেও রাজনৈতিক কারণে শেষ পর্যন্ত চাকরি করা হয়নি। তিনি ১৯৬৩-১৯৭৩ সাল পর্যন্ত স্থানীয় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতা করেন। এরপর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শিক চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিলেন,তার দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে প্রথমবার তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক নির্বাচিত হন, দপ্তর সম্পাদকের দায়িত্ব থেকে তাকে, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব দেন, এরপর তিনি ১৯৭৪-২০০৪ সাল পর্যন্ত দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন,২০০৪ থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তিনি দলের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি সুজানগর ইউনিয়ন পরিষদের ২ বার নির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সুজানগর মডেল পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব হলেও ছিলেন শিক্ষানুরাগী একারণেই তিনি রাজশাহী বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন।