খোকা ঘুমালো পাড়া জুড়ালো বর্গী এলো দেশে/বুলবুলীতে ধান খেয়েছে খাজনা দেবো কিসে ছড়া কবিতায় আমরা এমনটা পড়লেও বুলবুলী কেবল ধানই নয় বেগুন ও খায়। যতটা না খায় তার চেয়ে বেশি ঠুকরে নষ্ট করে। আর বুলবুলীর উপদ্রব থেকে বেগুন ক্ষেত রক্ষায় নিরন্তর চেষ্টা করে যাচ্ছেন চাটমোহরের কৃষকেরা। এতে কৃষকের ফসল রক্ষা পেলেও প্রাণ যাচ্ছে কিছু বুলবুলী পাখির। সেই সাথে বিস্তৃত হচ্ছে কারেন্ট জালের ব্যবহার। বাড়ছে উৎপাদন খরচও।
চাটমোহরের মূলগ্রামের রমজান প্রাং এর ছেলে হামিদ জানান, প্রায় চল্লিশ শতাংশ জমিতে বেগুন চাষ করেছেন তিনি। কিন্তু বুলবুলী পাখি জমির ছোট বড় বেগুন খেয়ে যাচ্ছে। ঠুকরিয়ে নষ্ট করছে। কোন মতেই বুলবুলীর কবল থেকে বেগুন খেত রক্ষা করতে পারছিলাম না। অবশেষে বাধ্য হয়ে কিছু দিন পূর্বে সমস্ত বেগুন খেত কারেন্ট জাল দিয়ে ঘিরে ফেলেছি। এতে বিঘা প্রতি প্রায় বাড়তি ৬ হাজার টাকা খরচ পরছে আমাদের। এখন আর বুলবুলী বেগুন নষ্ট করতে পারছে না। একই গ্রামের বেগুন চাষী রহিম জানান, কোন উপায়ন্তর না দেখে আমরা বেগুন খেতের চারপাশ এবং উপরাংশ কারেন্ট জাল দিয়ে ঘিড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছি। এতে বেগুন ক্ষেতে বুলবুলীর উপদ্রব কমেছে বলে জানান তিনি। কেবল হামিদ বা রহিমই নয় চাটমোহরের অনেক এলাকার বেগুন চাষী বেগুন ক্ষেত রক্ষায় এখন কারেন্ট জাল নির্ভর হয়ে পরেছেন।
চাটমোহর কৃষি অফিস সূত্র জানায়, চলতি মৌসুমে চাটমোহরে ১৬০ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ হয়েছে।