সাঁথিয়া প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়ায় পরকীয়ার ঘটনায় বাঁধা দেয়ায় দু’গোষ্ঠীর রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে মা হাজেরা খাতুন (৫০) খুন ও ৮জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেফতার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার রাতে উপজেলার নাগমেরা ইউনিয়নের পাথাইলহাট গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পাথাইলহাট গ্রামের প্রামানিক গোষ্ঠীর মেয়ের সাথে সরদার গোষ্ঠীর ছেলে নেকবারের মধ্যে পরকীয়ার ঘটনায় উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। ঘটনার দিন শুক্রবার রাতে নেকবার ওই মেয়ের কাছে যাবার চেষ্টা করলে তার মা বাধা দেয়। ঘটনা জানাজানি হলে রাত ১০টার দিকে উভয় গোষ্ঠীর মধ্যে বাকবিতন্ডা ও পরে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে প্রতিপেেক্ষর আঘাতে মুকুল প্রামানিকের স্ত্রী হাজেরা খাতুন গুরুতর আহত হয়। স্বজনেরা তাকে দ্রুত পাশর্^বতী উপজেলা ফরিদপুর হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। আহত হন মুকুল প্রামানিক (৫৮), নাগরী খাতুন (৩২), জহুরুল ইসলাম প্রাং (৩০), মুরাদ হোসেন প্রাং, খালেক সরদার (৩৫) নওশাদ সরদার(৫০) নেকবার সরদার(৩০)। খালেক ও নওশাদকে পাশর্^বর্তী বেড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পুলিশ পাহারায় তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন। মামলায় তাদের আসামী হিসেবে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। গ্রেফতার অন্য আসামী হলেন খালেক সরদারের স্ত্রী শ্যামলী খাতুন (২৭)।এ ঘটনায় নিহত হাজেরা খাতুনের ছেলে মকলেছুর রহমান বাদী হয়ে ১৪জনকে আসামী করে সাঁথিয়া থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস আই একরামুল হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান বাঁকী আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে।