নাটোরের বড়াইগ্রামের ১নং জোয়াড়ী ইউপি’র ৯নং ওয়ার্ড মেম্বর কামালের প্রতারনায় সুরধনী নামের এক বয়বৃদ্ধার চলমান বয়স্ক ভাতা বন্ধের অভিযোগ উঠেছে । সুরধনী উপজেলার চন্ডিপুর হিন্দুপাড়ার মৃত: সূর্যদেব এর স্ত্রী।
সুরধনী’র পরিবার সূত্রে জানা যায়- প্রায় ৮ বছর বয়স্ক ভাতা পেয়েছেন তিনি। কিন্তু গত ২বছর পূর্বে ভাতা বই’য়ে সমস্যা জানিয়ে বইটি নিয়ে যায় ওয়ার্ড মেম্বর কামাল হোসেন। পরবর্তীতে ঐ বইয়ের আর কোন সন্ধান মেলেনি। বার বার মেম্বর কামাল কে অবগত করলে বিভিন্ন অযুহাতে সময় কাটাচ্ছেন।
এদিকে বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছে সুরধনী। ঠিকমত দাঁড়াতেও পারেন না। তবুও শেষ সম্বল বয়স্কভাতার বইটা উদ্ধারের জন্য মেম্বরের বাড়ীতেও কয়েকবার ধর্ণা দিয়েছেন তিনি। স্বাক্ষাৎ হলে বিভিন্ন টালবাহানা করে বিদায় করে দেয় মেম্বর কামাল। বিষয়টি জানাজানি হলে নিন্দা জানান এলাকাবাসী।
এবিষয়ে সুরধনী বলেন- অনেক বছর আগে আমার নামে একটা বয়স্ক ভাতার কার্ড হয় এবং, ৮/১০ বছর টাকা পেয়েছি। কিন্তু কামাল মেম্বর বইটা নিয়ে যাওয়ার কারণে আমি আর টাকা পাইনা। আমার ভাতা কেন বন্ধ হয়েছে, সেটাও বলেনা। ভাতাটি চালু হওয়ার জন্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর কাছে আবেদন জানান তিনি।
নাম না প্রকাশের স্বর্তে কয়েকজন এলাকাবাসী বলেন- ইতিপূর্বে ভবানীপুর খাল খননের জন্য বরাদ্ধকৃত ২ লক্ষ ৮৮ হাজার আত্বসাৎ এবং কাজের বিনিময়ে খাদ্য কর্মসূচীতে ব্যপক অনিয়েমর অভিযোগ আছে এই ইউপি মেম্বর কামাল হোসেন এর বিরুদ্ধে।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ১নং জোয়াড়ী ইউপির ৯নং ওয়ার্ড মেম্বর কামাল হোসেন এর কাছে জানতে চাইলে- তিনি বলেন সুরধনির নাম রেজুলেশনে নেই। ১০ বছর পর ভাতা কার্ড বন্ধ হতে পারে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন- এবষিয়ে উপজেলা সমাজ সেবা অফিস বলতে পারবে। তবে বই নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করেন তিনি।
এ বিষয়ে উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা সোহেল রানা জানান- আপনাদের মাধ্যমে বিষয়টি অবগত হলাম। খুব দ্রæত সময়ের মধ্যে সুরধ্বনীর ভাতাটি প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা করবো।