লালমনিরহাট কুলাঘাটে ভুমিহীন দম্পতিকে পিটিয়ে আহত- থানায় অভিযোগ

                     

লালমনিরহাট সদর উপজেলার কুলাঘাটের শিবিরকুটিতে ভুমিহীন দম্পতিকে মারাত্বক ভাবে পিটিয়ে আহত করেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী ও দাপটদার মৃত তফুর উদ্দিনের ছেলে মোঃ লতিফ ও আব্দুল লতিফের ছেলে আখিরুল ইসলাম গং। এ ঘটনাটি ৯৯৯ পুলিশকে জানালে সদর থানার পুলিশের এ এস আই আবুল হাসনাত ওরফে আব্দুল হাই ঘটনাস্থলে গিয়ে ভুমিহীন দম্পতি মুছা মিয়া ও তার স্ত্রী ববিতা বেগমকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতাতলে ভর্তি করেন। এসময় পুলিশ আব্দুল লতিফের ছেলে আখিরুল ইসলাম(৩৫)কে আটক করে থানায় নিয়ে আসলে রাতে তাকে ছেড়ে দেয় হয়েছে বাদির অভিযোগ। এঘটনায় ডাক্তার শওকত আলী বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় ২৪ জানুয়ারী ৬ জনের নামে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। সদর থানার ওসি মোঃ শাহ আলম অভিযোগ পাওয়ার বিষয়টি স্বাীকার করেছেন। অভিযোগে আসামীরা হলেন, ১) আব্দুল লতিফের ছেলে আখিরুল ইসলাম (৩৫), ২) মৃত মফিজ উদ্দিনের ছেলে আমিনুল ইসলাম (৫০) ৩) মৃত তফর উদ্দিনের ছেলে আব্দুল লতিফ (৬০), ৪) আব্দুল লতিফের ছেলে মোছাব্বিরুল ইসলাম (২৬), ৫) মৃত ভুড়িয়া মামুদের ছেলে নমিজ উদ্দিন (৫৫), ও ৬) আব্দুল লতিফের ছেলে খালেকুজ্জামান। এর আগে ১৭ জানুয়ারী রাতে ভুমিহীন দম্পতিকে লাঠি সোডা নিয়ে মারপিঠ করতে আসলে স্থানীয়দের সহযোগিতায় বিবাদিদের হাত থেকে রক্ষা পায় তারা। পরে ওই ভুমিহীন দম্পতিকে আরো মারপিঠসহ বিভিন্ন ভাবে হুমকি দিলে ভুমিহীন মোঃ মুছা মিয়ার স্ত্রী ববিতা বেগম (৩৪) গত ১৯ জানুয়ারী লালমনিরহাট সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়রী করেন। যার নম্বর ৯৫৯ তারিখ ১৯/০১/২০২১ইং। এজাহারের বর্ণিত সুত্রে জানাগেছে, ভুমিহীন দম্পতির কোন জমি জমা না থাকায় তার স্থানীয় এক মামা ডাক্তার মোঃ শওকত আলী নিজ বাড়ীর একটি জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করে দেন। দীর্ঘদিন ধরে উলে­খিত বিবাদিরা তার ভাগনীকে জায়গা দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে ডাক্তার শওকত আলী ও ভুমিহীন দম্পতির উপর হামলা মারপিঠ করে আসছেন। স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে, মুছা মিয়া ও তার স্ত্রী ববিতা বেগম মুলতঃ ভুমিহীন। তাদের থাকার কোন জায়গা জমি না থাকায় ডাক্তার শওকত আলী কোন রকম থাকার একটু ব্যবস্থা করে দেন। এরপর থেকে তাদের উপর এই অত্যাচার চলছে। সরকার ভুমিহীনদের বাড়ী করে দিলেও এই ভুমিহীন পরিবারটি একটি বাড়ীও পায়নি। ফলে একের পর এক লাঞ্চিত হয়ে আসছে। সদর থানার পুলিশের এ এস আই আবুল হাসনাত ওরফে আব্দুল হাই বিষয়টি স্বীকার করে জানান, তাদের আহত অবস্থায় উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভুমিহীন মুছা মিয়ার বেড নম্বর ৩৮ ও তার স্ত্রী ববিতা বেগমের বেড নম্বর ৫২। তারা হাসপাতালের ৩য় তলায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। লালমনিরহাট সদর থানার ওসি শাহ আলম অভিযোগ পেয়েছেন জানিয়ে বলেন,তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। এদিকে ডাক্তার শওকত আলী ও ভুমিহীন দম্পতির প্রতি বিবাদিদের হুমকি প্রদর্শন চলছে জানান ভুমিহীন দম্পতি ও ডাক্তার শওকত আলী। তাদেরকে মেরে ফেলার ও হুমকি দিয়েছে বিবাদিরা।