মোঃ আবেদ আলী, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ॥ বীরগঞ্জ প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও দৈনিক করতোয়া পত্রিকার সাংবাদিক মোঃ আবেদ আলী, এবং যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ডেইলি অবজারভার পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি মোঃ মোশাররফ হোসেন, আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ শাহিনুর ইসলাম, মোঃ আফসার আলী, মোঃ মুকিত পারভেজ, মোঃ সিদ্দিক হোসেন, মোঃ হাফিজুল ইসলাম, মোঃ সাইফুল ইসলাম সহ ৮জন অভিযুক্ত
(দিনাজপুর জেলা জজ ও সিয়ির জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদাত) নিম্ম আদালতে জামেিন মুক্তি পায়। করোনা ভাইরাস পার্দুভাবের আগে ও পরে ১৫ মাস ধরে প্রতিটি ধার্য তারিখে অভিযুক্তরা আদালতে হাজির ছিলেন। গত ১১ নভেম্বর পুলিশ চুরান্ত প্রতিবেদন আদালতে প্রেরন করে। ম্যাজিষ্ট্রেট আদালত মামলাটি সাইবার ট্রাইবুনাল আদালতে (এ) প্রেরন করা হলে বিধি মোতাবেক পূর্ণরায় ১০৫/২১ নং-মামলায় ১৮ ও ১৯ জানুয়ারী/২০২১ইং তারিখে জামিনের আবেদন করলে বিজ্ঞ-বিচারক জামিন মঞ্জুর করেন।
উল্লেখ্য, উপজেলার নিজপাড়া ইউনিয়নের ধর্ষক খালেক চেয়ারম্যান রশিদা নামের এক রিক্সা চালকের স্ত্রীকে রিলিপ দেওয়ার প্রলোভন দিয়ে তার বাড়ীতে ডেকে এনে ধর্ষন করে তারিয়ে দেয়। ওই ঘটনায় রশিদা খাতুন বাদী হয়ে পুলিশ সুপারের কাছে অভিযোগ করেও থানায় মামলা করতে ব্যার্থ হয়ে সংবাদ প্রকাশের জন্য প্রেসক্লাবে গিয়ে কান্নাকাটি করে। বাধ্য হয়ে সাংবাদিক মহল পত্রিকায় ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ করেন।
ধর্ষক খালেক চেয়ারম্যান ২৪ অক্টোম্বর/২০১৯ইং ভিকটিম ও তার স্বামীকে পার্শ্ববর্তী বাবুল মুহুরীর বাড়ীতে তুলে এনে আপোষ বৈঠক বসিয়ে শতশত জনতার উপস্থিতিতে নিজের ভূল স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করে ্ওবং ভবিষ্যতে আর এমোন খারাপ কাজ না করার অঙ্গিকার করে। পরে পাপের প্রাশ্চিত হিসেবে আড়াই লক্ষ টাকা ব্যায়ে পাকা বাড়ী নির্মান, চার বস্তা চাল ও একটি নলকুপ দেওয়ার কথা বলে আপোষের নামে একাধিক ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে নেয়।
ধর্ষক খালেক চেয়ারম্যান স্বাক্ষর করিয়ে নেওয়া ফাঁকা স্ট্যাম্প দিয়ে ভিকটিমের শেখান বলি সাজিয়ে ব্যাকডেটে এফিডেফিট তৈরী করে। ব্যাকডেটে তৈরী করা এফিডেফিটকে পুঁজি করে ধর্ষক খালেক চেয়ারম্যান ধর্ষনের ঘটনা ধামাচাপা দিতে কতিপয় পা-চাটা কুত্তার সহযোগিতা নিয়ে নিজে বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৯, ৩০ ও ৩১ ধারাসহ অন্য ধারায় একটি মামলা করে যাহার নং-২০(১০)১৯।
সাংবাদিক এএইচএম, রোকমুনুর জামান রনির সহযোগিতায় ও বাংলাদেশ-আহম্মদ ইল্লাহ আমান এডভোকেট সুপ্রীম কোর্টে ও মোঃ গোলাম কিবরিয় মিলন হাইকোর্ট এবং আইনজীবি সহকারী মোঃ আবুল কালাম আজাদ জমিনের আবেদন উপস্থাপন করেন।