রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি :: চোখে কালো চশমা, সাহেবি বেশভুষা, দামি গাড়ি কিংবা অভিজাত বাড়ি না হলে যে সাধারন মানুষের সেবা করার সুযোগ নেই এমন পূজিবাদী ধারনাকে মিথ্যা প্রমানিত করে খেটে খাওয়া মানুষের সেবা করার লক্ষ্যে রাঙামাটি পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করছেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি রাঙামাটি শহর (পৌরসভা) কমিটির আহবায়ক যুবনেতা মো. আব্দুল মান্নান রানা। ধনীকশ্রেণীর কাছে তার গরীব তকমা থাকলে কি হবে মো. আব্দুল মান্নান রানা একাধারে সমাজসেবক, আন্তর্জাতিক উশু, জুডো ও কারাতে খেলোয়াড়, মানবাধিকার কর্মী আর গরীবের স্বার্থ রক্ষার ময়দানে তুখোড় প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ।
করোনা মহামারীর লকডাউনে শ্রমজীবি মানুষ যখন কর্মহীন, অর্থহীন নানাদিক থেকে মেহনতী মানুষের শুধু নেই নেই হাহাকার দিশেহারা তখনই নিজ উদ্যোগে ও রাঙামাটির স্থানীয় প্রশাসন সহযোগিতায় যোগান দেন শতশত মানুষের খাদ্য, বিলিয়ে দেন কর্মহীন পরিবারের মাঝে ত্রান সামগ্রী। শুধু তাই নয়, চারিদিকে পরিবেশের ভারসাম্যর বিরুপ প্রভাব, মাটিখেকো, বনখেকো, নদীখেকো সর্বোপরি পরিবেশ ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে কথা বলতে যুক্ত হন পরিবেশবাদী সংগঠন “সবুজ আন্দোলন”এ, গণপরিবহনে চলাচলকারী যাত্রীদের কন্ঠস্বর যাত্রী অধিকার সংরক্ষন পরিষদ রাঙামাটি জেলা কমিটির সাধারন সম্পাদক, রাঙামাটি জুডো ও কারাতে এসোসিয়েশনের সহসাধারন সম্পাদক এবং বাস্তবায়ন সংস্থা রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে কাঁধে নেন সাধারন মানুষের মানবাধিকার রক্ষার দায়িত্ব। জনদরদী এই মানুষটি নিজে খেটে খাওয়া পরিবারের সন্তান, আওয়াজও তোলেন খেটে খাওয়া শ্রমজীবি মানুষের জন্য।
করোনা মহামারীকে পাল্লা দিয়ে যখন দেশব্যাপী ধর্ষন মহামারী চলছিল সেসময়ও তিনি নারীদের পাশে দাড়িয়েছেন নিজ দায়িত্বে। প্রায় দুই শতাধিক যুবক যুবতীদের আত্মরক্ষার কৌশল রপ্ত করার প্রশিক্ষণ দিয়ে রাঙামাটির পৌর এলাকার যুব সমাজকে ধর্ষন বিরোধী মন্ত্রে উজ্জীবিত করেন।
তাইতো রাজনীতির এমন সংকটময় মূহুর্তে সুষ্ঠু রাজনীতির চর্চা ও বিকাশে ভুমিকা রাখতে রাঙামাটি পৌর এলাকার মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার জন্য এবং সর্বোপরি সাধারন মানুষের ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সামিল হয়ে রাঙামাটি পৌর এলাকাকে আধুনিক ও পৌরসভাকে সাধারন মানুষের সেবাকেন্দ্র পরিনত করার লক্ষ্যে রাঙামাটি পৌর নির্বাচনে কোদাল মার্কা নিয়ে পৌর মেয়র প্রার্থী হয়েছেন।
অমায়িক প্রচারবিমূখ মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল মান্নান রানা বলেন, সাধারন মানুষের প্রতিনিধিত্ব করতে হলে দরকার সাধারন মানুষ । আমি নিজে খেটে খাওয়া মানুষ তাই আমি বুঝি সাধারন মানুষের কষ্টের জায়গা এবং কারণ কি। তিনি বলেন আমরা জানি ভোট ডাকাত সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের কাছে এই পৌর নির্বাচন ও নিরাপদ নয়, কিন্তু দুর্ণীতিবাজ, সাধারন মেহনতি মানুষের অধিকার হরনকারীদের তো সুযোগ দিলে চলবেনা। তিনি চলমান উশৃংখল ক্ষমতার রাজনীতিবিদদের বিদায় দিয়ে একটি গণপ্রতিনিধিত্বশীল পৌরসভা বিনির্মানে কৃষক, শ্রমিকসহ সর্বোপরি মেহনতি মানষুদের ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহবান জানান। তিনি বলেন আমি পৌর মেয়র নির্বাচিত হলে পৌরপিতা নয় পৌরসেবক হতে চাই, আর রাঙামাটি পৌরসভা হবে পৌরবাসীর সেবাকেন্দ্র, কোন দলীয় কার্যালয় নয় বা টেন্ডারের কাজ ভাগবাটোয়ার স্থান নয়, যা বর্তমানে হচ্ছে।
অত্যন্ত বিনয়ী অধুমপায়ী মেয়র প্রার্থী মো. আব্দুল মান্নান রানা রাজনীতিসহ নিয়োজিত আছেন নানা সামাজিক ও ক্রীড়া সংগঠনে। ক্রীড়াউদ্যোমী এই সমাজসেবক ক্রীড়াবিদের রয়েছে একাধারে জুডো, কারাতে ও শাওলিন কংফু (উশু)র পারদর্শিতা। ক্রীড়বিদ হিসেবেও রয়েছে একাধিক জাতীয় ও আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি ও স্বর্ণপদক। জাতীয় পর্যায়ের সর্বশেষ খেলাটিও তার লেখা রয়েছে স্বর্ণাক্ষরে। ২০১৫ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত জাতীয় উশু-সানডা প্রতিযোগীতায় সারা বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের পিছনে ফেলে প্রথম স্থান অধিকার করে অর্জন করেন স্বর্ণ পদক। রয়েছে জুডো খেলায় ব্ল্যাক বেল্ট (২য় ড্যান), কারাতে-সোতোকান ব্ল্যাক বেল্ট (২য় ড্যান) ও শাওলিন কংফু (উশু)তে ব্ল্যাক বেল্ট (২য ড্যান)। খেলাধূলা থেকে অবসর নিয়ে মনোযোগ দেন সমজ উন্নয়নে। তিনি যুবসমাজকে ধুমপান ও মাদক থেকে বিরত রাখতে এবং যুবসমাজের মধ্যে ক্রীড়ার বিকাশ ঘটাতে নিজেই প্রতিষ্ঠা করেন ড্রাগন মার্শাল আর্ট সেন্টার। রাঙামাটি পৌর এলাকায় বেশ কয়েকটি প্রশিক্ষন কেন্দ্রে রয়েছে ৫ শতাধিক শিক্ষার্থী।