মুজিববর্ষে কলমাকান্দায় পাকা ঘর পাচ্ছে ১শত একটি গৃহহীন পরিবার

কলমাকান্দা (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি
জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে নেত্রকোনার কলমাকান্দায় গৃহহীন ও ভূমিহীন ১শত একটি পরিবারকে পাকা ঘর নির্মাণ করে দিচ্ছে সরকার।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় ভূমি মন্ত্রণালয়ের গুচ্ছগ্রাম প্রকল্প ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর উপহার হিসেবে উপজেলায় ১শত একটি সেমিপাকা ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। রঙিন টিনের ছাউনি দ্বারা নির্মিত ১৯ দশমিক ৬ ফুট বাই ২২ ফুটের ওই সকল সেমিপাকা ঘরে রয়েছে দুইটি বেড রুম, বারান্দা, টয়লেট ও কিচেন।
উপজেলার আটটি ইউনিয়নের মধ্যে কলমাকান্দা সদর ইউনিয়নে ১৫ টি, নাজিরপুর ইউনিয়নে ২টি, পোগলা ইউনিয়নে ২টি, বড়খাপন ইউনিয়নে ১৮টি, খারনৈ ইউনিয়নে ১৭টি, লেংগুরা ইউনিয়নে ১৭টি, কৈলাটী ইউনিয়নে ১৩টি ও রংছাতি ইউনিয়নে ১৭টি। ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা করে প্রতিটি ঘরের ব্যয় ধরা হয়েছে। ওই সকল ঘরের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। এখন ওইসব ঘর হস্তান্তরের অপেক্ষায় রয়েছে কতৃপক্ষ।
পোগলা ইউনিয়নের খাতেসালেঙ্গা গ্রামের বেদেনা খাতুন বলেন, ১২ বছর ধইরা ভিক্ষা কইরা আমি আমার প্রতিবন্ধী ছেলেরে লইয়া খেরের ভাঙ্গা ঘরে থাহি। সরকার আমারে বিনা টেহায় ঘর বানাইয়া দিতাছে। কুনুদিন স্বপ্নেও ভাবচি না এমন ঘরে থাকবাম। এই বলে ওই ভিক্ষুক নারী খুশিতে কাঁদতে শুরু করেন।
তার মতো এমন আরেক নারী কৈলাটী ইউনিয়নের হাড়িগাতি গ্রামের দুই শারিরিক প্রতিবন্ধী সন্তানের মা কুলসুম আক্তার বলেন বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ করে দিনে কখনো ২০০ কখনো ৩০০ টাকা উপার্জন করি। এই টাকায় বাজার খরচই হয়না। তারমধ্যে মাটির ভাঙা ঘর মেরামত করা আমার পক্ষে কষ্টকর হয়ে দাড়িয়েছিল। সরকার আমাকে একটি নতুন ঘর তৈরী করে দেওয়ায় দুঃখের দিন শেষ হয়েছে।
কলমাকান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সোহেল রানা বলেন, মুজিববর্ষে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ উপহার হিসেবে কলমাকান্দা উপজেলায় দেয়া ১শত একটি ঘরের নির্মাণ কাজ প্রায় শেষের দিকে। এইসব গৃহের হস্তান্তর সনদ ও তালিকা প্রস্তুত রয়েছে। ২৩ জানুয়ারি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এই ঘর বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।