পাবনার ভাঙ্গুড়া পৌরসভা নির্বাচনে পরাজিত কাউন্সিলর প্রার্থী জহুরুল ইসলাম ও তার লোকজন প্রতিপক্ষের এক কর্মীকে পিটিয়ে জখম করেছেন। আজ সোমবার দুপুর একটার দিকে পৌর শহরের এক নম্বর ওয়ার্ডে আব্দুল মোড় বাজারে এই হামলার ঘটনা ঘটে। আহত ব্যক্তির নাম আব্দুল হান্নান (৩২)। সে ওই ওয়ার্ডের মেন্দা মহল্লার আব্দুল জব্বারের ছেলে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জানুয়ারি ভাঙ্গুড়া পৌরসভা নির্বাচনে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে তোফাজ্জল হোসেন, জহুরুল ইসলাম, ইব্রাহিম হোসেন ইমরান ও জহুরুল ইসলাম (২) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। জহরুল ইসলাম বর্তমান কাউন্সিলর এবং তোফাজ্জল হোসেন সাবেক কাউন্সিলর। দু’জনেই ভাঙ্গুড়া পৌরশহরের ধনাঢ্য ব্যবসায়ী। ওই নির্বাচনে মেন্দা মহল্লার বাসিন্দা ইটভাটা শ্রমিক আব্দুল হান্নান সাবেক কাউন্সিলর তোফাজ্জল হোসেনের কর্মী হিসেবে কাজ করেন। ভোটগ্রহণের কয়েকদিন আগে জহুরুল ইসলামের পরিবারের লোকজন ভোট চাইতে গেলে আব্দুল হান্নান তাদেরকে বাড়িতে প্রবেশ করতে দেননি। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ছিলেন জহুরুল ইসলাম সহ অন্যরা। পরে নির্বাচনে ছাত্রলীগ কর্মী ইব্রাহিম হোসেন ৭৫৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। অপর প্রার্থী জহুরুল ইসলাম ৬৫৫ ভোট, তোফাজ্জল হোসেন ৫৫৫ ভোট এবং জহুরুল ইসলাম পান ৬ ভোট। ছাত্রলীগ কর্মীর কাছে দুই ধনাঢ্য ব্যবসায়ী পরাজিত হওয়ায় তাদের কর্মী সমর্থকদের মাঝে গত কয়েকদিন ধরে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। এঅবস্থায় আজ সোমবার দুপুরে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার পথে আব্দুল মোড়ে পৌঁছালে আব্দুল হান্নানকে পরাজিত প্রার্থী ও বর্তমান কাউন্সিলর জহুরুল ইসলামের নির্দেশে তার ভাই জাহিদুল ইসলাম ও সাইফুল ইসলাম সহ ১০/১২ জন ব্যাপক মারধর করে। পরে চিৎকারেে স্থানীয় বাসিন্দারা এসে তাকে উদ্ধার করে মুমূর্ষ অবস্থায় ভাঙ্গুড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।
অভিযোগের বিষয়ে কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম বলেন, ‘নির্বাচনী প্রচারণার সময় আব্দুল হান্নান আমার কর্মীদের সাথে খারাপ ব্যবহার করে। তার ধারাবাহিকতায় সোমবার দুপুরে আমার কর্মীদের সাথে আব্দুল হান্নানের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে আমার কর্মীরা তাকে মারধর করে। কিন্তু মারধরের সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না। প্রতিপক্ষের লোকজন অহেতুক আমাকে দোষারোপ করছে।’
ভাঙ্গুড়া থানার ডিউটি অফিসার এএসআই মুকিম হোসেন বলেন, মারধরের ঘটনা মৌখিকভাবে শুনেছি। তবে থানায় লিখিত অভিযোগ দিলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।