নাজিম হাসান,রাজশাহী থেকে:
রাজশাহীর বাঘা উপজেলার আড়ানী পৌরসভা নির্বাচনে প্রচারণার সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকদের দ্বারা দুই সাংবাদিকসহ নারী নেত্রী হামলার শিকার হয়েছে। শুক্রবার (৮ জানুয়ারি) বেলা ২টার দিকে শাহাপুর ও পিয়াদাপাড়া এলাকায় বিদ্রোহী প্রার্থী মুক্তার আলীর কর্মী-সমর্থকরা এই হামলা করেন। এই হামলায় আহত হয় দুই সাংবাদিকসহ নারী নেত্রী। হামলার শিকার দুই সাংবাদিক প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহত সাংবাদিকরা হলেন, মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের রাজশাহী ক্যামেরাপার্সন মাহফুজুর রহমান রুবেল ও দীপ্ত টিভির ক্যামেরা পার্সন ইসলাম উদ্দিন। এতে রুবেলের মোবাইল ভেঙে ফেলা হয়েছে। এসময় রুবেলের ক্যামেরাটিও ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুরের চেষ্টা চালানো হয়। গণসংযোগকারী রাজশাহী জেলা যুব মহিলা লীগের এক নারী কর্মীর শাড়ি ধরে টেনে-হেঁচড়ে তাকে লাঞ্চিত করা হয়। পরে স্থানীয় লোকজন গিয়ে দুই সাংবাদিক ও নারী নেত্রীকেসহ লাঞ্চিতের শিকার যুব মহিলা লীগের নেতা-কর্মীদের উদ্ধার করেন।রুবেল জানান, বাঘায় যুব মহিলা লীগের নেত্রীরা নৌকার প্রচারণা চালাচ্ছিলেন। ওই সময় বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকেরা নৌকার লিফলেট নিয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছিড়ে ফেলছিলেন। এই দৃশ্য তারা ভিডিও করছিলেন। আর তখনই বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকেরা তাদের ওপর আক্রমণ করে। এক সমর্থক তার গলা টিপে ধরে বলে, ‘সাংবাদিকের বাচ্চা তোকে আজ মেরেই ফেলব’। এরপর স্থানীয় লোকজন তাদের উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় থানায় খবর দেওয়া হলেও পুলিশ রহস্যজনক কারণে বিকেল পৌনে চারটার দিকে এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত ঘটনাস্থলে পৌঁছেনি। এ ব্যাপারে বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম জানান, পুলিশ ঘটনাস্থলে রওনা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। তবে এ বিষয়ে অভিযোগ পেলে আইনী ব্যবস্থা নিবেন বলে জানান ওসি।উল্লেখ্য,বাঘার আড়ানী পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে নৌকা প্রতীকে অংশ নিয়েছেন শহীদুজ্জামান শাহীদ, বিএনপির ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে তোজাম্মেল হক এবং স্বতন্ত্র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী) বর্তমান মেয়র মুক্তার আলী নারিকেল গাছ প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন।তবে মুক্তার আলী আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রাথী হলেও পুলিশ তাকে নানাভাবে সহযোগিতা করছেন বলেও অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের প্রার্থী শহীদুজ্জামান শাহীদ।