ইয়ানূর রহমান : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ি ঘরহীন মানুষকে ঘর তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী মুজিববর্ষ পালন উপলক্ষে সরকারের একটি বড় কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারা দেশের ৮ লাখ ৮২ হাজার ৩৩টি ঘরহীন পরিবারকে আধপাকা টিন-শেড ঘর নির্মাণ করে দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
এরই অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ প্রকল্প-২ এর আওতায় প্রাথমিক পর্যায়ে শার্শা উপজেলার উলাশী, নাভারন কুলপালা ও ধান্যখোলা, বালুন্ডা সহ বিভিন্ন গ্রামে ‘ক’ তালিকাভূক্ত ১১৫ ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য তৈরী করা হচ্ছে পাকা বাড়ি।
চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এ সকল ঘর নির্মাণের কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছে উপজেলা প্রশাসন।
শার্শা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লাল্টু মিয়া জানান, এই উপজেলায় জমিও নেই বাড়িও নেই এমন ‘ক’ তালিকাভূক্ত পরিবারের সংখ্যা ১১৫। এর মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ে ৫০ জনকে সরকারি খাস জমিতে তৈরী করে দেয়া হচ্ছে পাকা বাড়ি।
বাথরুমসহ দুইটি কক্ষ বিশিষ্ট ওই পাকা ঘরে থাকছে রান্নাঘর ও বারান্দা। সুপেয় পানির জন্য থাকছে টিউবওয়েল। যা একটি ছোট পরবিারের থাকার জন্য যথেষ্ট। প্রতিটি পাকা বাড়ি নির্মাণে বরাদ্দ করা হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এসকল বাড়ির নির্মাণ কাজ দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছে উপজেলা প্রশাসন। চলতি মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে এ সকল বাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ করে হস্তান্তরের জন্য প্রস্তুত করা হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছে তারা।
মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে শার্শায় আশ্রায়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ প্রকল্পের কাজ পরিদর্শণ করেছেন যশোর জেলা প্রশাসক তমিজুল ইসলাম খান।
শার্শা উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত ঘুরে তিনি ভূমিহীন ও গৃহহীনদের গৃহ নির্মান কাজ পরিদর্শণ ও নির্বাচিত ‘ক’ শ্রেণীর উপকারভোগী পরিবারের সাথে মতবিনিময় সভা করেন।
পরিদর্শণকালে জেলা প্রশাসকের সাথে ছিলেন শার্শা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পূলক কুমার মন্ডল, উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি)রাসনা শারমিন মিথি, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা লাল্টু মিয়া, পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা বিল্লাল হোসেন, বিভিন্ন ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা সহ প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।