ঈশ্বরদীতে নসিমন উল্টে পারমাণবিকের ২ শ্রমিক সহ সড়কে প্রাণ গেল তিনজনের

ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতা :রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ প্রকল্প (আরএনপিপি) নিকটস্থ লালনশাহ সেতুর গোলচত্বরে শ্যালোর ইঞ্জিন চালিত তিন চাকার নসিমন উল্টে প্রকল্পের দুই শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন আরো কয়েকজন। রবিবার দুপুরের দিকে কুষ্টিয়া জেলার ভেড়ামারা থানার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রকল্পের শ্রমিকরা নসিমন যোগে কাজে আসার সময় লালনশাহ সেতুর পূর্ব পাশের গোলচত্তরের বাক ঘোরার সময় উল্টে যায়। নসিমনের নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন, কুষ্টিয়া ভেড়ামারা থানার মসলেমপুর গ্রামের আজগার আলীর ছেলে আনিসুর রহমান (৩১) ও একই থানার দামুকদিয়া গ্রামের ইব্রাহিম হোসেনের ছেলে আব্দুল খালেক (৩২)। নিহত আনিসুর রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের রাশিয়ান কোম্পানি রুইনওয়ার্ল্ড এবং আব্দুল খালেক ম্যাক্স বাংলাদেশ লিমিটেডের শ্রমিক।
পাকশী হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মনিরুজ্জামান জানান, নিহতদের লাশ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে। দুর্ঘটনা কবলিত শ্যালোর ইঞ্জিন চালিত নসিমনকে আটক করে ফাঁড়িতে রাখা হয়েছে। হালকা আঘাত প্রাপ্ত হওয়ায় আহতরা বাড়ি চলে গেছে। নসিমন চালক পলাতক রয়েছে।
অপরদিকে ট্রাকের ধাক্কায় ঈশ্বরদীতে নসিমন চালক নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম রহমান (৪৫)। নিহত রহমান কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার ঝলসা গ্রামের মৃত নবাব আলীর ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় নসিমন চালক রহমান পাকশী থেকে আওতাপাড়া হাট এলাকায় যাওয়ার পথে সাহাপুর ইউনিয়নের ছিলিমপুর কদিমপাড়া এলাকায় মালবাহী একটি ট্রাক নসিমনকে সামনে থেকে ধাক্কা দেয়। স্থানীয়রা আহত রহমানকে উদ্ধার করে পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ নাসির উদ্দিন জানান, মরদেহটি পাবনা জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে।দুর্ঘটনার পর ট্রাক ফেলে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। ট্রাকটি এখন পুলিশের হেফাজতে রয়েছে