রফিকুল ইসলাম সুইট : পাবনার দিগন্ত বিস্তৃত ফসলের মাঠ শুধু হলুদ আর হলুদ।হলুদের সাথে মিতালী করে মধূ সংগ্রহ করছে মৌমাছি।বাম্পার সরিষার আবাদ আর মধু সংগ্রহে কৃষকের মুখে হাসি। বিস্তৃত সরিষার হলুদ ফুলে মৌমাছির মিতালী আর মাঝে সারি সারি খেজুর-তাল গাছে যেন প্রকৃতি সেজেছে নতুন রুপে।জেলা অধিকাংশ এলাকায় প্রাকৃতিক এসব দৃশ্য দেখে মনে হয় ‘যেন প্রকৃতি কন্যার গায়ে হলুদ’।পরিবার পরিজন নিয়ে ছবি ফ্রেমবন্দী করতে সবাই যেন হুমড়ে পড়ে হলুদের ওপর। অতিরিক্ত সরিষা উৎপাদন হবে বলে জানিয়েছেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর।
উত্তরবঙ্গ মধুচাষী সমিতির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান- পাবনা সরিষা মধু আহরণ শুরু হয়েছে।এবার পাবনা ও চলনবিল এলাকায় সরিষা আবাদ বেশ বেশী। আবহাওয়া ভালো হওয়ায় সরিষা উৎপাদন বাড়বে পাশাপাশি মধু সংগ্রহ ও বাড়বে। এবার পাবনা জেলা ৩/৫ শত মেট্রিক ট্রন ও চলন বিল এলাকায় ১ হাজার থেকে ১৫ শ মেট্রিক ট্রন মধূ আহরণ হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
পাবনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক মো. আব্দুল কাদের জানান- সরিষা উৎপাদনের জন্য পাবনা খুবই পরিচিত জেলা। এ জেলার অধিকাংশ এলাকায় সরিষা আবাদ বৃদ্ধির সাথে সাথে বেড়েছে মওসুম মৌচাষীদের তৎপরতা। এবার ৩২ হাজার ৫শত হেক্টর জমিতে সরিষা আবাদের লক্ষ মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে তবে সরিষা আবাদ লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশী হচ্ছে। আবহাওয়া উপযোগী হওয়ায় সরিষার উৎপাদন লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশী হবে। সরকারে সার্বিক সহযোগীতা রয়েছে সরিষা চাষিদের জন্য। সরিষা থেকে মধু সংগ্রহ একটি ব্যাপক লাভজনক কাজ। সরষের হলুদ ফুলের রাজ্যে মাঠে মাঠে বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে মধু সংগ্রহে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন মৌচাষীরা।
আব্দুল কাদের আরো জানান- রোপা-আমন দ্রুত কেটে সরিষা আবাদ করা হয়েছে। সরিষা সংগ্রহ কেটে বোরো চাষ করা হবে। এতে জমির ব্যবহার বৃদ্ধি পায়।