কুলাউড়া উপজেলার ২নং ভুকাশিমুল ইউনিয়নে মীরশংকর গ্রামের মনাফ মিয়ার হত্যার জের ধরে প্রতিপক্ষের পরিবারকে হুমকি দিয়ে বাড়ি ছাড়া করায় একা ঘরে থাকা জুবেদা খাতুন ৮২ বছর বয়সী বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে, গত ১২ ডিসেম্বর রাতে কুলাউড়া শহরের মিনি প্লাজার ব্যবসায়ী মনাফ মিয়ার বাড়ি ফেরার পথে নিখোঁজ হন। ১৫ ডিসেম্বর জুবেদা খাতুনের বসত ঘরের পিছনের একটি গর্ত থেকে মনাফ মিয়ার লাশ উদ্ধার করে কুলাউড়া থানা পুলিশ। এ ঘটনায় শাহিনুর রহমান ও তার তিন ভাইকে গ্রেফতার করে পুলিশ। গ্রেফতারের পর পুরুষ শূন্য বাড়িতে নিহত মনাফ মিয়ার পরিবার হুমকি ধামকি দিয়ে বাড়ীতে থাকা মহিলারা প্রান বাচঁতে বাড়ি ছেড়ে চলে যান। শাহিনুর মিয়ার পরিবারে অভিযোগ নিহত মনাফ মিয়ার পরিবারের লোকেদের হুমকিতে তারা প্রাণ রক্ষার্থে ১৬ই ডিসেম্বর বাড়ি ছেড়ে চলে যান। এ সময় গ্রেফতারকৃত শাহীনুর রহমান এর বৃদ্ধ মা জুবেদা খাতুন বাড়িতে থেকে যান। ২১ ডিসেম্বর জুবেদা খাতুনের নাতিন জলি বেগম (২২) নানীর খোঁজ নিতে এসে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ দেখতে পায়। অনেক ডাকাডাকির পর সাড়া শব্দ না পেয়ে কুলাউড়া থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে একটি দরজা ভেঙ্গে ঘরের একটি রুম থেকে পচন ধরা জুবেদা খাতুনের লাশ উদ্ধার করে মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। মৃত জুবেদা খাতুনের পুত্র বধু ইমা জাহান,নাজমা বেগম, শরীফা বেগমের অভিযোগ নিহত মনাফ মিয়ার বাড়ীর আকলু মিয়া, সাকেল মিয়া, পত্তর মিয়া, মাছুম আহমেদ, আছার উদ্দীন, আজির মিয়া, মুজির মিয়া তাদের পুরুষ শূণ্য বাড়ীতে এসে হুমকি দামকি দিতে থাকে। তাদের মান ইজ্জত ও প্রানের ভয়ে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বাড়ি, ছেড়ে অন্যত্র চলে যায়। জুবেদা খাতুন বাড়ী ছেড়ে যেতে রাজি হয়নি। তাদের হুমকি ও বাড়িটি অবরোদ্ধ করে রাখার কারনে মর্মান্তিক এই মৃত্যুর জন্য নিহত মনাফ মিয়া পরিবারের লোকেদের দায়ী করেন। এব্যাপাওে কোর্টে মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানা যায়। কুলাউড়া থানার অফিসার ইনচার্জ বিনয় ভূষন রায় জানান, ১২ ডিসেম্বর রাত মনাফ মিয়ার ভাই থানায় এসে মনাফ মিয়ার নিখোজেঁর সংবাদ জানালে, তিনি সাথে সাথে উদ্ধার অভিযোন শুরু করেন। এসময় পাশের বাড়ীর শাহীনুর রহমানের পুকুর পাড়ে রক্তের দাগসহ কিছু আলামত দেখতে পান। ১৫ ডিসেম্বর শাহিনুর রহমানের ঘরের পিছনে একটি গর্ত থেকে মনাফ মিয়ার লাশ পুলিশ উদ্ধার করে। এ হত্যার ঘটনায় ৬ জনকে গ্রেফতারকরা হয়েছে।শাহিনুর রহমান আদালতে হত্যার ব্যাপারে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্ধি দিয়েছে। ২১ ডিসেম্বর জুবেদা খাতুন এর নাতনী জলি বেগমের সংবাদের ভিত্তিতে গিয়ে একটি বন্ধ রুম থেকে মৃত দেহ উদ্ধার করি। এই বাড়িতে কয়েকদিন যাবৎ কোন লোক না আসায় হাঁস, মুরগ,গরু বাচুর গুলো বাধা অবস্থায় ছিল দেখে মনে হয়েছিল পশু গুলো কয়েক দিনের ক্ষুধার্থ ও গুলো খুব দূর্বল হয়ে পড়েছিল।