দিনাজপুরে গালর্স অব হ্যাভেন আয়োজিত ২দিন ব্যাপী বর্ণিল পিঠা উংসবের উদ্ধোধন

দিনাজপুরে শুরু হয়েছে দুইদিন ব্যাপী পিঠা উংসব। উংসবের উদ্ধোধনী দিনে ছিল পিঠার স্বাদ নিতে আসা বিভিন্ন বয়সের নারী পুরুষ,শিশু-কিশোরদের উপচেপড়া ভীড়। নারী উদ্যোক্তাদের স্বাবলম্বী করতেই পিঠা উংসব এর আয়োজন।

২১ ডিসেম্বর বিকেলে দিনাজপুর প্রেসক্লাবের এম আব্দুর রহিম মিলনায়তনে গালর্স অব হ্যাভেন আয়োজিত ২দিন ব্যাপী বর্ণিল পিঠা উংসবের উদ্ধোধন করেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বকসী বাচ্চু, বিশেষ অতিথি ছিলেন সা: সম্পাদক গোলাম নবী দুলাল।

দেশের গ্রাম বাংলার পিঠার সাথে গ্রাম্য সংস্কৃতির সম্পৃক্ততার গন্ধ পাওয়া যায়। একে ধরে রাখতেই উদ্দোক্তাদের এই আয়োজন। শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নারী উদ্যোক্ততারা তাদের তৈরী পিঠা নিয়ে উংসবে এসেছে। পিঠা উংসবের ১২টি স্টোলে শোভা পাচ্ছে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী ১শ প্রকারে পিঠা। স্টোলে সাজানো তৈরী পিঠা গুলোর মধ্যে রয়েছে পাঠি সাপটা, পাতা কুড়ি, পাতা পিঠা, চিতই, ভাপা, নুনিয়া , নারিকেলের পিঠা, গোকুল পিঠা , দুধপুলি, গাজরের পিঠা,পাকান পিঠা, নকশী পিঠা ও দুধ চিতাই পিঠা।

প্রধান অতিথি অনুষ্ঠানের উদ্ভোধন করে বলেন, পিঠা ছাড়া আমাদের বাঙ্গালীর জীবনে শীত যেন পরিপূর্ন হয়না। শীত এলেই মনে পড়ে -দাদী-নানী ও মায়ের হাতের তৈরী পিঠার স্বাদের কথা। তিনি বলেন,সুস্বাধু ও মুখরোচক পিঠা গ্রাম বাংলার সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যকে আজো লালন করছে তাই গ্রাম ছেড়ে শহরে সমানতালে জনপ্রিয় উঠছে পিঠা। আমাদের আগামী প্রজন্মকে পিঠার সাথে পরিচিত করতে না পারলে, পিঠার সাথে জড়িত অনেক ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি হারিয়ে যাবে।

উদ্ভোধনী অনুষ্ঠানে উংসবের আয়োজক সাদিয়া খান,নারী উদ্দোক্ততা সামা ইমরান ও মডারেটর পিংকি তানিয়াসহ গালর্স হ্যাভেন এর নারী উদ্যোক্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।