বাগাতিপাড়ায় বিভিন্ন হাটে যত্রতত্র পশু জবাই ও মাইকিং করে মাংশ বিক্রির অভিযোগ

নাটোরের বাগাতিপাড়ায় বিভিন্নহাট-বাজারে ও মোড়ে যত্রতত্র পশু জবাই ও মাইকিং করে মাংশ বিক্রি অভিযোগ উঠেছে। জবাই করার পূর্বে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার নিয়ম থাকলেও তা মানা হচ্ছে না বলে অভিযোগ প্রাণীসম্পদ কর্তার।

সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলার প্রাণকেন্দ্র মালঞ্চি, দয়ারামপুর, ছাতিয়ানতলা, লোকমানপুর, জামনগর, ফাগুয়ারদিয়াড়, সাইলকোনা ও তমালতলা বাজারে পশু জবাইয়ের নির্ধারিত স্থান থাকলেও কোনো কোনো বাজারের পাবলিক টয়লেটের পাশে, নোংড়া স্থানে অনুমোদনহীন ভাবে মাইকিং করে যত্রতত্র পশু জবাই করা হয়। জবাই করার পূর্বে সময় প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তর মনোনিত প্রতিনিধির মাধ্যমে পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষা করার নিয়ম থাকলেও তা মানা হয় না। মাংশ বিক্রির সময় ঝুলিয়ে না রাখাসহ নানানরকম অনিয়মের বিষয়গুলি নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কোন তদারকি নেই বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। প্রাণী সম্পদ অফিসের প্রতিনিধি কে তোয়াক্কা না করে নিজেরা পশু জবাই ও মাইকিং করার কথা স্বিকার করেছে ফাগুয়ারদিয়াড় বাজারের মাংশ বিক্রেতা মাহাসিন। বিক্রির মাংশগুলো না ঝুলিয়ে হাটসেডের মেঝেতে পাটির উপরে রাখতে দেখে স্থানীয় সাংবাদিক রিয়াজুল ইসলাম প্রতিবাদ করলেও কর্ণপাত করেননা মাংশ ব্যবসায়ী।
অনিয়মের বিষয়গুলি উপজেলা সেনিটারী ইন্সপেক্টর আব্দুর রাজ্জাকে জানালেও তিনি গুরুত্ব না দিয়ে দয়ারামপুর বাজার হয়ে তার বাসা চাটমহর যাওয়ার কথা বলে প্রসঙ্গ এড়িয়ে যান।
ফাগুয়ারদিয়াড় বাজার কমিটির সভাপতি আইয়ুব আলী জানান, আমি প্রশাসনের দৃষ্ঠি আকর্ষন করছি, যেন পশু জবাই করার জন্য একটি সুরক্ষিত জায়গা ব্যবস্থা করে দেয়। আমরা বাজার কমিটির পক্ষ থেকে যা যা করা দরকার সব করবো। তাহলে সব সমস্যার সমাধান হবে বলেও তিনি আশাবাদী।

মানবাধিকার কর্মী আব্দুল বারী বলেন, সরকারি বিধী উপেক্ষা করে উপজেলার বিভিন্ন বাজারে সর্বত্রই কসাইরা প্রতিদিনই সু-খবর-সু-খবর বলে মাইকিং করে গবাদিপশু জবাই করছে। যত্রতত্র রাস্তার পাশে গড়ে ওঠা অনুমোদনহীন মাংসের দোকান গুলোসহ , উপজেলার অন্যান্য বাজারে অসাধু মাংস ব্যবসায়ীরা গরুর টাটকা মাংসের সাথে বাসি মাংস মিশিয়ে এবং বকরী কিংবা পাঠার মাংসকে খাসীর মাংস হিসেবে বিক্রি করলেও সংশিলষ্ট কতৃপক্ষের কোন তদারকি নাই বলেলেই চলে।
জনবল কম থাকায় সেচ্ছাসেবক দিয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে পরীক্ষার কাজটি করেন বলে, উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ এ বি এম আলমগীর জানান, উপজেলার যত্রতত্র রোগাক্রান্ত ও স্বাস্থ্যহীন গবাদিপশু গরু, মহিষ, ছাগল ইত্যাদি নির্বিঘেœ জবাই করা হচ্ছে, ফলে শুধুমাত্র পরিবেশ বিপর্যয় নয় মানুষের শরীরেও রোগব্যাধি সংক্রামন হতে পারে।

বাগাতিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা প্রিয়াংকা দেবী পাল জানান, এসব বিষয়ে অনেক মৌখিক অভিযোগ ও মাইকিং আমিও শুনেছি, এজন্য সংশিলষ্টদের সাথে আলোচনা করে দ্রæত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।