বগুড়া জেলা প্রতিনিধি: বগুড়ায় তৃণমূল থেকে বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে ছাত্ররাজনীতি শুরু করা এক পরিচ্ছন্ন ও রাজনৈতিক ব্যক্তির নাম আল রাজী জুয়েল। এগিয়ে যাওয়ার অদম্য ইচ্ছাশক্তি নিয়ে ১৯৯৭ সালের জুন মাসে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রাথমিক সদস্যপদ সংগ্রহ করে জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান নিজের অন্তরে ধারণ করে রাজপথে ছাত্ররাজনীতি শুরু করা আল রাজী জুয়েল বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ বগুড়া জেলা শাখার দপ্তর সম্পাদক। ছাত্রনেতা থেকে দীর্ঘ এই ২৩ বছরের যাত্রায় মামলা, হামলা এবং জুলুম-নির্যাতন পার করে বগুড়ার মতো একটি স্থানে শুধুমাত্র সততা, নিষ্ঠা এবং পরিচ্ছন্ন রাজনীতির ধারা বজায় রেখে ছাত্রনেতা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃস্থানীয় পদে আজকের আল-রাজী জুয়েল যার এই রাজনৈতিক যাত্রা হতে পারে হাজারো তরুণের কাছে অনুপ্রেরণা ও অনুকরণীয়।
২০১৯ সালের ৭ ডিসেম্বর বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলনের মাধ্যমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ ৭টি পদে নেতৃবৃন্দের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দদের মাধ্যমে। সম্মেলনের প্রায় ১ বছর পরে গত ২৩ নভেম্বর ৭টি পদ ফাঁকা রেখে কেন্দ্র থেকে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের ৬৮ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি ঘোষণা দেওয়া হয় যদিও পরবতীর্তে ২৯ নভেম্বর কিছু পদ পরিবর্তন এবং শূণ্য পদে নেতা নির্বাচন করে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের ৭৫ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয় যেখানে দপ্তর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব প্রদান করা হয় পূর্বের কমিটির উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আল রাজী জুয়েল কে।
উল্লেখ্য, ১৯৯৭ সালে ছাত্রলীগের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণের পরে এই জুয়েলই সর্বপ্রথম সরকারি আজিজুল হক কলেজে (পুরাতন ভবন) ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করেন এবং সেখানে সফলভাবে আহ্বায়কের দায়িত্ব পালন করেন। পরবতীর্তে ২০০২ সালে জেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য এবং ২০০৩ সালে সরকারি আজিজুল হক কলেজ ছাত্রলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এরপর বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের ২০০৪ সালের সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পদক হিসেবে দায়িত্ব লাভ করে তা সফলভাবে পালন করেন ২০০৯ সাল পর্যন্ত। সততা ও নিষ্ঠার সাথে রাজনীতি করা সাহসী জুয়েল তার কর্ম ও নেতৃত্ব দক্ষতায় ২০১০ সালে দায়িত্ব পান বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে যার মাধ্যমেই জুয়েল রাজনৈতিক অঙ্গণে আবারো নিজেকে তুলে ধরেন। জামাত শিবিরের তান্ডব মোকাবেলা, আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ে অবস্থান, প্রশাসনের সাথে ছাত্রলীগের নেতাদের সাথে নিয়ে সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা বিধানে ভূমিকা রাখা এবং জেলার পাশাপাশি সকল উপজেলা ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের কমিটি গঠন করে ছাত্রলীগের জনবল বৃদ্ধিসহ একাধিক দৃশ্যমান ইতিবাচক কাজ করেন এই নেতা।
পরবতীর্তে ২০১৬ সালের সম্মেলনে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে আল রাজী জুয়েল কে উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব দেয়া হয় যা তিনি সফলভাবে পালন করেছেন ২০১৯ সাল পর্যন্ত। রাজনৈতিক অঙ্গণে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি এই জুয়েল অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে বগুড়ায় জেলা ক্রীড়া সংস্থার সদস্য, সুবিল উচ্চ বিদ্যালয় ও দারুল আরকাম ইবতেদায়ী হাফেজী মাদ্রাসার সভাপতি, বগুড়া ডায়াবেটিকস্ সমিতির আজীবন সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। সাথে সাথেই বর্তমান সরকারের উন্নয়নের বিভিন্ন চিত্র তুলে ধরে জাতীয় ও স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় সমসাময়িক বিষয়ে নিয়মিত লেখালেখিও চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। শুধু তাই নয় অসহায় ও গরীব দু:খী মানুষের জন্যে কাজ করতে ব্যক্তি উদ্যোগে খুলেছেন বিডিইও নামে একটি বেসরকারী সেচ্ছাসেবী সংগঠন। যার মাধ্যমে করোনাকালীন সময়ে তিনি প্রায় দেড় হাজার পরিবারের দরজায় গিয়ে গিয়ে পৌঁছে দিয়েছেন খাদ্য সামগ্রী ও নগদ অর্থ সহায়তা।
এছাড়াও মাহে রমজানে প্রতিদিন ওয়ার্ডভিত্তিক ২’শ জন মানুষের জন্যে সর্বমোট ২১টি ওয়ার্ডে ইফতার ও একবেলার খাবার বিতরণ, সড়কে সড়কে বিভিন্ন যানবাহনে জীবাণুনাশক স্প্রেকরণ, মাস্ক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিতরণ, ঈদে অসহায়ের মাঝে বস্ত্র বিতরণ, মুজিববর্ষে বৃক্ষরোপণসহ বর্তমানে এই সংগঠনের মাধ্যমে তিনি গরীব ও কর্মহীন মহিলাদের বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন যেখানে বর্তমানে প্রায় ৬০ জন নিয়মিত গ্রহণ করছেন দিন বদলের যাত্রার সেই শিক্ষা। বঙ্গবন্ধুর ডাকে যেমন এই আল রাজী জুয়েলের পিতা মরহুম আব্দুল গফুর ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধে। সেই মুক্তিযোদ্ধা পিতার অনুপ্রেরণাতেই শিশুকাল থেকেই নিজের বুকে ধারণ করেছেন বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বলে জানান আল রাজী জুয়েল। দেশরতœ শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অঙ্গণে তার দলের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে ইতিবাচক ও নিষ্ঠার সাথে সকল দায়িত্ব পালন করার প্রত্যাশাও ব্যক্ত করেন ছাত্রনেতা থেকে বগুড়ার আপামর জনসাধারণের নেতা হয়ে উঠা এই আল রাজী জুয়েল।