রাস্তায় শুকানো হচ্ছে প্লাস্টিকের কুচি চাটমোহরে অনুমোদন বিহীন প্লাস্টিক ভাঙ্গানোর কারখানা


চাটমোহর প্রতিনিধি
পাবনার চাটমোহরের নিমাইচড়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামে প্লাস্টিক ভাঙ্গানোর অননুমোদিত কারখানা গড়ে উঠেছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র না নিয়েই প্রায় আড়াই বছর যাবত নির্বিঘেœ প্লাস্টিকের বোতল কাটিং করে বাজারজাত করে আসছেন মির্জাপুর গ্রামের গোলজার মোল্লার ছেলে হানিফ মোল্লা (৫৫)। জেড এম প্লাস্টিক কাটিং মিল নামক এ কারখানায় পরিত্যক্ত প্লাস্টিকের বোতল কুচি কুচি করে কাটা হয় প্রতিদিন। এলাকার পুরোনো বোতল সংগ্রহকারীদের নিকট থেকে পরিত্যক্ত বোতল কিনে কাটিং করেন তিনি।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) সরেজমিন মির্জাপুর গ্রামে গেলে চোখে পরে নিমাইচড়া থেকে ভাঙ্গুড়াগামী ওয়াপদার পাকা রাস্তার পাশের কাঁচা রাস্তার উপর খোলা মেলা জায়গায় শুকানো হচ্ছে মেশিনে ভাঙ্গানে প্লাস্টিকের কুচি। মিলে ভাঙ্গানো প্লাস্টিকের কুচির বস্তা ভ্যান যোগে ওয়াপদার পাকা রাস্তায় এনে লোড করা হচ্ছে ট্রাক। মির্জাপুরের জনবহুল এলাকায় এ মিলটি স্থাপিত হওয়ায় তা এ এলাকার মানুষের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাড়িয়েছে। কাটিং করার সময় এবং শুকানোর সময় প্লাস্টিকের অতি ক্ষুদ্র কনা বাতাসে ছড়িয়ে পরে যা জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকীর কারন।
এ ব্যাপারে হানিফ মোল্লা জানান, আমি ইউনিয়ন পরিষদ থেকে জেড এম প্লাস্টিক কাটিং মিল নামক একটি ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে এ ব্যবসা পরিচালনা করে আসছি। পরিবেশ অধিদপ্তরের কোন ছাড়পত্র আমার নেই। নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান খোকন জানান, তিনি প্লাস্টিকের পুরাতন বোতল ক্রয় বিক্রয় করেন বলে জানতাম। তবে তিনি যদি পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড় পত্র ব্যতীত প্লাস্টিক কাটিং এর কাজ করেন তবে তা অন্যায়। এটি এলাকার পরিবেশ দূষণ করবে।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সৈকত ইসলাম জানান, জনবহুল এলাকায় প্লাস্টিক কাটিং এর কাজ করলে তা অবশ্যই জন স্বাস্থ্যের জন্য হুমকী। পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র ব্যতীত ব্যবসা করলে অবশ্যই এ প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে দেবো এবং এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।