পানি সম্পদ উপমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম এমপি বলেছেন, কুষ্টিয়ায় বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে হামলার নেপথ্যের মদদদাতাদের খুঁজে বের করা হবে। হামলাকারীরা পাকিস্তানের এজেন্ট। বাংলাদেশে পাকিস্তানি দোসরা এখনও ঘুরে বেড়াচ্ছে। একাত্তরের পরাজিত শক্তিরা সব সময় বাংলাদেশকে পাকিস্তান বা আফগানিস্তান বানানোর চেষ্টায় লিপ্ত। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার সব শক্তিকে আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে ওই সব পারিজিত শক্তির বিরুদ্ধে মাঠে থাকতে হবে।
সোমবার (৭ ডিস্বেম্বর ২০২০) সকালে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্যে হামলার প্রতিবাদে ঢাকায় কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ আয়োজিত মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজুর সভাপতিত্বে সমাবেশে সাইদুর রহমান পান্না, মেহেরুন নেছা সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।
তিনি আরও বলেন, অপরাজেয় বাংলা, সংশপ্তক, জাগ্রত চৌরঙ্গী, স্বোপার্জিত স্বাধীনতা, সাবাস বাংলাদেশ, বিজয় ৭১ ভাস্কর্য দেশের ইতিহাস ও ঐতিহ্যদের ধারক-বাহক।ভাস্কর্য পৃথিবীর সব দেশেই আছে এমনকি সৌদি আরবেও শাসকদের অবয়বসহ বহু ভাস্কর্য আছে। ইরানে ইসলামী বিপ্লবের নেতা আয়াতুল্লাহ খোমেনীর ভাস্কর্যসহ বহু ভাস্কর্য আছে, তুরস্কে আছে। যারা পাকিস্তানী ভাবধারায় বিশ্বাস করে, পাকিস্তান ভেঙ্গে গেল বলে যারা বুক চাপড়ায় তাদের অনুসারীদের সেই পাকিস্তানের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ’র ভাস্কর্য আছে, কবি ইকবালের ভাস্কর্য আছে। আর মহান মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ এক এবং অভিন্ন। তাই বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য হবেই, কেউ বাঁধা দিয়ে পার পাবে না। আর আন্দোলনের ইস্যু না পেয়ে যারা সাম্প্রতিক গোষ্ঠীদের দেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে চায় তাদেরকেও খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে।
এদিকে একই দাবিতে স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের উদ্যোগে সারাদেশেও প্রতিবাদ সমাবেশ করা হয়েছে।