সুন্দরগঞ্জে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত পরিবারকে সহায়তা প্রদান


গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় পুলিশের পিক-আপ ভ্যানের সাথে মোটর সাইকেলের মুখোমুষি সংঘর্ষে নিহত পল্লাী চিকিৎসক মোনারুল ইসলামের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। আজ বুধবার থানায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ হতে ৫০ হাজার এবং উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বারিক মজুমদারের পক্ষ ১ লাখসহ মোট দেড় লাখ টাকা নিহতের স্ত্রী ইতি বেগমের হাতে তুলে দেন পুলিশ পরিদর্শক তদন্ত বুলবুল ইসলাম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুন্দরগঞ্জ ডি ডাব্লিউ সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ আব্দুল হান্নান সরকার, বেলকা মজিদ পাড়া বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও সাংবাদিক আব্দুল মান্নান আকন্দ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বারিক মজুমদার, এস আই সেলিম রেজা, সাংবাদিক জাহিদুল ইসলাম জাহিদ প্রমূখ। গত ২১ নভেম্বর গাইবান্ধা-সুন্দরগঞ্জ গ্রামীণ হাইওয়ে সড়কের উপজেলার শান্তিরাম ইউনিয়নের ফোরকানিয়া রাজার সংলগ্ন স্থানে সুন্দরগঞ্জ গামী পুলিশের পিক-আপ ভ্যানের সাথে মোটর সাইকেলের (গাইবান্ধা-ল-১১-০৫৪৮, এ্যাপাচি) মুখোমুখি সংঘর্ষে মোটরসাইকেল চালক সাংবাদিক আলাউদ্দিন মজুমদার শাহীন ও আরোহী পল্লী চিকিৎসক মোনারুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। তাৎক্ষণিকভাবে পুলিশ পিক-আপ ভ্যানে আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। মোনারুলের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে তাৎক্ষণিকভাবে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পর তার মৃত্যু হয়। মোনারুল উপজেলার দহবন্দ ইউনিয়নের উত্তর ঝিনিয়া গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে। সে দীর্ঘদিন থেকে পৌর শহরে অবস্থান করে আসছিল। তার একটি ৫ বছরের কন্যা ও ১ বছরের ছেলে সন্তান রয়েছে। এদিকে সাংবাদিক আলাউদ্দিন মজুমদার শাহীন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন থাকায় তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় রাতে তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। শাহীন পৌর শহরের ৯ নং ওয়ার্ডের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী বারিক মজুমদারের ছেলে। সে সুন্দরগঞ্জ প্রেসক্লাবের সদস্য এবং দৈনিক প্রথম খবর ও দৈনিক মানচিত্র পত্রিকার উপজেলা প্রতিনিধি। বর্তমানে সে রংপুরে চিকিৎসাধীন রয়েছে।