চলনবিল অধ্যাষিুত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলায় এবছর শীতের আগমনী বার্তা জানান দিচ্ছেন আগেভাগেই। আর শীত নিবারণের জন্য লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন কারিগররা। শীতে লেপ-তোষক ব্যবসায়ীরা বেজায় খুশি।
উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজারে ব্যবসায়ীরা লেপ-তোষক মজুদ করে রেখেছেন বিক্রির জন্য। তাছাড়া নতুন নতুন লেপ-তোষক তৈরি করছেন খরিদদাররা।
উপজেলার
পৌর শহর, নওগাঁ বাজার, খালখুলা বাজার, গুল্টা বাজার ও রানীরহাট বাজারসহ
বিভিন্ন বাজারে লেপ-তোষক তৈরির কারিগরদের ব্যস্ততা বেড়েছে আগের তুলনায় অনেক
গুণ।
তাড়াশ উপজেলা পৌর সদরে দেখা যায়, চলনবিল অধ্যাসিতু তাড়াশে ঠান্ডা বাতাস ও কুয়াশা পড়তে শুরু করছে সর্বত্র। দিনে সূর্যের আলো থাকলেও সন্ধ্যার পর ঘন কুয়াশার চাদরে চার দিকে ঢেকে যাচ্ছে।
পৌরসভা এলাকার লেপ-তোষক ব্যবসায়ী আবুল বাশার জানান, এরই মধ্যে ক্রেতারা নিজ নিজ পরিবারের সদস্যদের জন্য লেপ-তোষক, বালিশসহ শীতবস্ত্র বানাতে দিচ্ছেন ও অনেকেই আবার বানিয়ে নিয়েছেন। তবে লেপ-তোষক তৈরির কাঁচামাল তুলা ও কাপড়ের দাম একটু চড়া।
বাজারে প্রতি কেজি গার্মেন্টস তুলা (সাদা) ৬০ থেকে ১২০ টাকা, গার্মেন্টস তুলা (কালো) ৩০ থেকে ৬০ টাকা, শিমুল তুলা ৬শ টাকা থেকে ৬শ ৫০ টাকা, কার্পাস তুলা ২শ টাকা থেকে ২শ ৫০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে।
উপজেলার নওগাঁ ইউনিয়নের নওগাঁ বাজারের ব্যবসায়ী প্রদীপ কর্মকার জানান, এ বছর লেপ-তোষক তৈরিতে গত বছরের চেয়ে তিনশত থেকে চারশত টাকা বেশী লাগতেছে। তাছাড়া একটি তোষক ১২শত’ থেকে ২ হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে ও উন্নতমানের একটি জাজিম তিন হাজার থেকে পাঁচ হাজার টাকায় বিক্রি হয়।