বিদেশ ফেরত যাত্রীদের কোভিড-১৯ নেগেটিভ সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। অন্যথায় ১৪ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে থাকতে হবে বলেও জানান তিনি।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ রবিবার ( ১৫ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক নতুন একশ ভেন্টিলেটর মেশিন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, বিমানবন্দর, স্থলবন্দর বা সমুদ্রবন্দর যে পথ দিয়েই বিদেশ থেকে যাত্রীরা আসুক না কেন সব জায়গায় এই নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে সব জায়গায় কোয়ারেন্টিনেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বিভিন্ন দেশে সংক্রমণ আবার বাড়ছে, এর মধ্যে বিদেশ থেকে মানুষ আসছে, অনেকে বাইরে যাচ্ছে। ভাইরাসের বিস্তার রোধেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্স নবায়ন করা প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন,দেশের সকল প্রাইভেট ক্লিনিক,হাসপাতালকে সরকারের দেয়া নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যেই লাইসেন্স গ্রহণের মাধ্যমে তালিকাভুক্ত হতে হবে। লাইসেন্স ছাড়া কোন প্রাইভেট ক্লিনিক বা হাসপাতাল চালানো যাবে না।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশকে ১০০টি ভেন্টিলেটর হস্তান্তর করে। জাহিদ মালেক বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে আমেরিকা বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র। দেশের উন্নয়নমূলক কাজে আমেরিকা সরকার সবসময় বন্ধুর মতই এগিয়ে এসেছে। এই করোনা দুর্যোগে বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যুর দেশ আমেরিকা। নিজ দেশের এতো বড় বিপর্যয়ের পরেও আমেরিকা বাংলাদেশকে ১০০ টি অত্যাধুনিক ভেন্টিলেটর উপহার দিচ্ছে, যা সত্যিই প্রশংসনীয়।
গতবছর ডিসেম্বরে চীনে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব দেখা দিলে অন্য অনেক দেশের মতো বাংলাদেশেও জানুয়ারি থেকেই বিমান ও স্থলবন্দরগুলোতে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেওয়া শুরু হয়। বিদেশ ফেরত যাত্রীদের তাপমাত্রা পরীক্ষাসহ স্ক্রিনিংয়ের পাশাপাশি কারও মধ্যে অসুস্থতার লক্ষণ থাকলে তাকে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিনে পাঠানোর ব্যবস্থা হয়।
ঢাকার আশকোনা হজ ক্যাম্পে ও উত্তরার পাশের দিয়াবাড়িতে সরকারি ব্যবস্থাপনায় কোয়ারেন্টিন সেন্টার পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয় সেনাবাহিনীকে। বিদেশ ফেরতদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিত করতে সে সময় হাতে সিল লাগিয়ে দেওয়ারও ব্যবস্থা নেয় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ। মাঝখানে দুই মাসের বেশি সময় আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ছিল। এখন আবার কয়েকটি দেশ থেকে আকাশ পথে যাত্রী পরিবহন হচ্ছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আবারও সব বন্দরে কঠোর নজরদারির নির্দেশনা দেন।