মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার ঃ কমলগঞ্জ উপজেলার কালেঙ্গা গ্রামের মুক্তিযুদ্ধা মোঃ আব্দুল মালিক এর সরকার বাহাদুর হইতে বন্দোবস্তপ্রাপ্ত ভূমি প্রতিপক্ষের লোকজন আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে জবরদখল করার অভিযোগ উঠেছে। মৌলভীবাজার অনলাইন প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য মুক্তিযুদ্ধা মোঃ আব্দুল মালিক জানান- অসচ্ছল, সহায় সম্বলহীন এবং ভূমিহীন
মুক্তিযোদ্বা বিধায় সরকার বাহাদুর হইতে বিগত ২০০১ ইং সন হইতে ২০৯৮ ইং পর্যন্ত ৬৪ শতক ভূমি (ভূমির তফসিল : উপজেলা কমলগঞ্জ, মৌজা: দেওরাছড়া, টি.ই. জে.এল নংÑ০২, কতিয়ান
নংÑ১, এস.এ দাগ নংÑ২০২, আর.এস খতিয়ান নং-৫৩৭, আর.এস দাগ নং-৫০২, চৌহাদ্দা..উত্তরে জরিপী ২০১ দাগের ভূমি, দক্ষিণে
..জরিপী ২০১ দাগের ভূমি, পূর্বে জরিপী ২০৩ দাগের ভূমি, পশ্চিমে জরিপী ২০১ দাগের ভূমি । ইহাতে সাইল রকম মোং-.৬৪ [দশমিক চৌষট্রি} একর ভূমি ) স্থায়ী বন্দোবস্ত প্রাপ্ত হন। কিন্তু,
কালেঙ্গা গ্রামের আতাউর রহমান চৌধুরী, শামিম মিয়া, দিঘলগজী গ্রামের আলিক মিয়াগংরা উক্তভূমি জবর দখল করার চেষ্টা করলে তিনি তাদের বিরুদ্ধে সহকারী জজ কমলগঞ্জ আদালতে (স্বত্ত
৮০/১০ ইং) মামলা দায়ের করেন। আদালত মামলার রায়ও প্রদান করেন।
পরবর্তীতে পুনরায় সহকারী জজ আদালতে (স্বত্ত জারি ০৩/১৪ ইং) মামলা দায়ের করার পর উক্ত মামলায় বিগত ২৬-০৫-১৬ ইং তারিখে
আদালতের আদেশ মোতাবেক আদালতের নিযুক্তিয় সার্ভেয়ার এড. জহিরুল ইসলাম, জারিকারক ফয়ছল আহমদ তফসীল বর্ণিত ভূমিতে
গিয়া ঢুলি সচিমুনকরকে দিয়ে ঢুল পিটাইয়া স্থানীয় লোকদের সম্মুখে জারিকারক ফয়ছল আহমদ আদালত কতৃক ঝান্ডা পুতিয়া দিয়া যান। এবং আদালত কতৃক নিযুক্তিয় সার্ভেয়ার ম্যাপ অনুযায়ী সীমানার খুটি এবং নামের একটি সাইনবোর্ড
পুতিয়া রাখিয়া যান। সার্ভেয়ার ও জারিকারক তফশীল বর্ণিত সম্পত্তিতে ঝান্ডা পুতিয়া যাবার পর হইতে আতাউর রহমান চৌধুরী, আলিক মিয়া, শামিম মিয়া, হারিস মিয়া, ফয়জুল মিয়া, সুজুল মিয়া পুতিয়া রাখা ঝান্ডা উঠাইয়া ফেলিয়া দেন।
এ সময় তিনি স্থানীয় লোকজনদের সাথে নিয়ে তাদেরকে বাঁধা প্রদান করলে তাকে প্রাণে হত্যার উদ্যেশ্যে মারধর করতে আসেন।
সর্বশেষ এ ঘটনায় বিগত ০৬-১০-২০২০ইং তারিখে কমলগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।
বিবাদীদের হুমকি ধমকিতে তিনি শংকিত এবং পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছে বলে দাবী করেন। ভুক্তভোগী পরিবারের মধ্যে সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- মুক্তিযোদ্ধার পুত্র মোঃ আইনুল হোসেন, আবুল হোসেন, পুত্রবধু জেসমিন আক্তার, মেছাঃ সুফিয়া বেগম ও নাতি জামাই মইনুদ্দিন জিতু।