চর্বি কমাতে খাদ্যতালিকায় যোগ করতে পারেন বিভিন্ন রকম খাবার। প্রতিটা খাবারই দেহে ভিন্ন উপায়ে বিপাক সৃষ্টি করে। যা প্রভাব পড়ে ক্ষুধা, হরমোন ও ক্যালরি খরচের ওপরে।
খাদ্য ও পুষ্টি-বিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদন অবলম্বনে বিপাক বাড়িয়ে চর্বি কমাতে সহায়তা করে এমন কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জানানো হল।
ওটমিল: বিশেষজ্ঞদের মতে, দৈনিক তিনবার বা তার বেশি ওটস ও এই ধরনে শস্য খাওয়া ১০ শতাংশ পর্যন্ত পেটের চর্বি কমাতে সহায়তা করে।
ডার্ক চকোলেট: গবেষণায় দেখা গেছে, অন্ত্রের জীবাণু চকলেট গাঁজন করে এবং অন্ত্র সুস্থ রাখার উপাদান পলিফেনল যৌগ বৃদ্ধি করে। এমন একটি যৌগ হল বাটিরেইট, এই ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের চর্বি কমানোর জ্বালানী হিসেবে কাজ করে।
খাবার তালিকায় ৭০ শতাংশের বেশি কোকোয়া সমৃদ্ধ ডার্ক চকোলেট যোগ করা ভালো। এতে উচ্চ মাত্রায় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পলিফেনল পাওয়া যায়।
ডিম: ডিম যেভাবেই খাওয়া হোক না কেনো এটা কোলিনের ভালো উৎস, যা পেটের চর্বি কমাতে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
কাঠ বাদাম: প্রোটিনের ভালো উৎস হওয়ার পাশাপাশি চর্বি কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
প্রতিদিন এক মুঠ কাঠ বাদাম খাওয়া ওজন কমায় এবং বিপাক বৃদ্ধি করে। নাস্তায় কাঠ বাদাম খেতে না চাইলে কাঠ বাদামের পাউডার খাবারে যোগ করতে পারেন।
নারিকেল তেল: রান্নায় নারিকেল তেল ব্যবহার খাবারকে মজাদার করার পাশপাশি পেটের চর্বি কমাতেও সহায়তা করে।
গ্রিন টি: উচ্চ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ। যা কোষের ক্ষয় দূর করতে সহায়তা করে। প্রতিদিন বড় এক কাপ গ্রিন টি পান করলে বিপাক বাড়ায় ও চর্বি কমাতে সহায়তা করে।
লেবুর পানি: শরীরের জন্য পানি উপকারী। আর হজম প্রক্রিয়া উন্নত করতে, শক্তি বাড়াতে ও মনোযোগ বৃদ্ধি করতে পানিতে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। প্রতিদিন লেবুর পানি পান করলে সারাদিন পেট ভরা অনুভূতি দিতেও সহায়তা করে।