আবদুল জব্বার ও মনসুর আলম খোকন সাঁথিয়া থেকে : পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সরকারি গাছ কেটে নিজ ঘরের আসবাবপত্র তৈরির অভিযোগ। তদন্তে সত্যতা মিলেছে দাবি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের।
পাবনা জেলা প্রশাসকসহ বিভিন্ন দপ্তরে দেওয়া অভিযোগে জানা যায়, উপজেলার কাশিনাথপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী সভাপতি মির্জা শহিদুল ইসলাম নিজস্ব লোকজন দিয়ে ৩৩ নং মেহেদী নগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি বড় মেহগুণী গাছ কেটে নেন। গাছটিতে ৪০/৪৫ সিএফটি কাঠ আছ্ েযার অনুমানিক মূল্য প্রায় ৭০ হাজার টাকা।
অভিযোগের ভিত্তিতে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ শিক্ষা অফিসার হেলাল উদ্দীনকে তদন্তের নির্দেশ দেন। শিক্ষা অফিসার উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসাকে তদন্তের দায়িত্ব প্রদান করেন। তিনি তদন্ত শেষে শিক্ষা অফিসার হেলাল উদ্দীনের নিকট তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন।
কাশিনাথপুর ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য শহিদুল ইসলাম সরকারি গাছ কাটার কথা স্বীকার করে জানান, পুকুরের মাছ রক্ষার জন্য আমি বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে পরামর্শ করেই গাছ কেটেছি।
উপজেলা শিক্ষা অফিসার হেলাল উদ্দীন জানান, তদন্তে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে। তদন্ত প্রতিবেদন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট প্রেরণ করা হয়েছে।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহমেদ জানান, সরকারি গাছ কেটে ঘরের আসবাবপত্র তৈরির বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন রবিবার (৮ নভেম্বর) আমি হাতে পেয়েছি। ওই ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।