যেভাবে সুস্থ থাকা যায় গরম-ঠান্ডায়

আবহওয়ার পরিবর্তনে বিভিন্ন উপসর্গ দেখা দেয়। সর্দি-জ্বর ছাড়াও আরো নানা রোগের শঙ্কা থাকে। বিশেষ করে শীত মৌসুমে গলা ব্যথার সমস্যা কমবেশি সবারই হয়। এছাড়াও অনেকের টনসিলের সমস্যা থাকে। তাদের একটু ঠান্ডা-গরমেই গলা ব্যাথার সমস্যা হয়।
শীত ঋতু আসার আগেই চোখ রাঙাচ্ছে করোনাভাইরাস। বর্তমানে দিনে গরম আর মধ্যরাতের পর ঠান্ডা অনুভূত হচ্ছে। এমন আবহাওয়ায় প্রধান উপসর্গ হিসেবে থাকছে গলা ব্যথা ও জ্বর। জ্বর না থাকলেও খুশখুশে কাশি ও গলাব্যথা এসব থাকছেই।

অপরদিকে গরমে ঘাম বসেও গলাব্যথা হচ্ছে। তাই গলাব্যথা মানেই কোভিড এরকম ভুল ধারণা রাখবেন না। কিন্তু গলাব্যথা হলে আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে কিভাবে সুস্থ থাকবেন তা একবার দেখে নিন। ওষুধ থেকেও অনেক বেশি কাজে আসবে এই সমাধান।

ঢোক গিলতে সমস্যা কিংবা গলা ব্যথা হলে আগে গরম পানিতে লবন দিয়ে গার্গল করুন। গলা ব্যথার সমস্যায় প্রাথমিক ওষুধ হিসেবে খুবই কাজ দেয় গার্গল। সমস্যা হলে দিনের মধ্য যদি পাঁচবার গার্গল করা যায় তাহলে ব্যাথা বা সংক্রমণ অনেকটা কমে যায়।
আদাও খুব ভালো কাজ করে। আদার মধ্যে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল উপাদান খুব তাড়াতাড়ি সংক্রমণ রোধ করে। আর তাই পানি গরম করে তাতে কয়েক টুকরো আদা ফেলুন। এবার সেই পানি ভালো করে গরম করে গার্গল করুন। তাতে অনেক রকম উপকার হবে। এছাড়াও পানিতে আদা দিয়ে ফুটিয়ে মধু দিয়ে খেতে পারেন। তাতেও অনেক রকম উপকার পাবেন।

চিকিৎসকেরা বলেন, লেবু আমাদের শরীরের টক্সিন দূর করার ক্ষেত্রে খুব উপকারি। তাই গলায় ব্যথায় হলে এক গ্লাস গরম পানি লেবুর রস ও এক চা চামচ মধু ভালোভাবে মেশান। দিনে অন্তত দু’বার এটি খান। গলা ব্যথা ও টনসিলের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে লেবু মধুর পানি।
হলুদ হল অ্যান্টি সেপটিক। এছাড়াও হলুদের মধ্যে থাকে অ্যান্টি ইনফ্লামেটরি বৈশিষ্ট্য। যা গলা ব্যথায় ভালো কাজে আসে। এছাড়াও হলুদের মধ্যে থাকে আরও অনেক গুণ। ফলে হলুদ মেশানো দুধ খেলেও খুব ভালো উপশম হয়। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক টুকরো হলুদ খেতে পারলে খুবই ভালো।

কয়েক ফোঁটা দারুচিনি তেলের সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে নিন। দিনে একবার অন্তত এটি ব্যবহার করুন। গলার ব্যথা থেকে দ্রুত মুক্তি পাবেন। যে কোনও ব্যাথাতেই কাজ করবে এই টোটকা।
মধু তার অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্যগুলির জন্য পরিচিত। প্রাচীনকাল থেকেই গলা ব্যথার নিরাময়ের জন্য ব্যবহৃত হয় মধু। এক কাপ গরম পানিতে এক থেকে দুই চামচ মধু মেশান এবং দিনে দুই থেকে তিনবার খান অথবা ঘুমোতে যাওয়ার আগে আপনি এক চামচ মধু খেতে পারেন।

তেজপাতার তেজেই লুকিয়ে স্বাস্থ্যকর এই সমাধান! জানতেন? : গলা ব্যাথা বা শ্বাসকষ্টে ভেপারও খুব উপকারী। প্রথমে কান-মাথা ভালো করে জড়িয়ে নিন কাপড় দিয়ে। এরপর গরম পানিতে সামান্য লবন দিয়ে পানির ভাপ নিন। দিনে দু’বার এটা করতে পারলে খুব সহজেই গলার ব্যথা কমবে।
রসুন খুব ভালো রোগ প্রতিরোধ করে এবং গলা ব্যথা, ইনফেকশন এসব কমাতে সাহায্য করে। রসুনের মধ্যে থাকা অ্যালিসিন গলা ব্যথার কারণ ব্যাকটিরিয়াকে মেরে ফেলতে সহায়তা করে। এটি কাঁচাও খাওয়া যায় এবং রান্না করেও খাওয়া যায়।
মাঝে মাধ্যেই মুখে দুটি লবঙ্গ রাখুন এবং সেগুলো নরম হওয়ার পর চিবিয়ে গিলে ফেলুন। লবঙ্গ কিন্তু খুব দ্রুত গলার ব্যাথা কমিয়ে দেয়। সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।