সাঁথিয়া প্রতিনিধিঃ
পাবনার সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মৌজার সোনাইবিল ২৫ একর জলমহল ২ লক্ষ ২৮ হাজার টাকায় লিজ নিয়ে মৎস্যজীবি সমিতির সদস্যরা বঞ্চিত হওয়ার আশঙ্কায় রয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা চেয়ে বিভিন্ন দপ্তরে আবেদন।
সুত্রে জানা যায়, সাঁথিয়া উপজেলার নন্দনপুর ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর মৌজার আর, এস খতিয়ান নং ০১, দাগ নং ৭০ এর ২৫ একর টি, এস, কেস নং ৯৪ ভুক্ত সোনাইবিল জলমহল। নন্দনপুর ইউনিয়ন মৎস্যজীবি সমবয় সমিতির সভাপতি শ্রী বাদল চন্দ্র হলদার দীর্ঘ দিন যাবৎ নিয়মানুযায়ী খাস জমি বন্দোবস্ত এর আওতায় সরকার বাহাদুরের নিকট থেকে লিজ নিয়ে মাছ শিকার করে আসছেন। বর্তমানে বাংলা ১৪২৭ সালের জন্য ২ লক্ষ ২৮ হাজার ৭ শত ৫১ টাকায় লিজ গ্রহণ করেন। যার ইজারা মূল্য ১৯০৬২৫, মুসক ২৮৫৯৪ আয়কর ৯৫৩২ মোট ২২৮৭৫১ টাকা ডি,সি, আরের মাধ্যমে ২৩/০৮/২০২০ তারিখে পরিশোধ করেন। জলাশয়ে বর্ষার পানি নামতে শুরু করলে জেলেরা মাছ শিকার করে। বাদল চন্দ্র হলদার জানান বিল পারের কৃষ্ণপুর, হাড়িয়াকাউন, নন্দনপুর, চকনন্দনপুরসহ বিভিন্ন গ্রামের ৭০ জন মৎস্যজীবিদের নিয়ে মাছ শিকারের উদ্যোত হোন। তিনি আরো বলেন, এসময় হাড়িয়াকাহন গ্রামের আবু হানিফের ছেলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্সক শুভ মন্ডল, তাপাল প্রামানিকের ছেলে ইউনুস, ওয়াজেদের ছেলে সোহেল হিরাই খার ছেলে মমিন ময়েন খার ছেলে নুরু খানসহ কয়েক জন জলাশয়ে ডাল, বাঁশ পুতে জবর দখলের পঁয়তারা করে। তাদের বিরুদ্ধে প্রতিকার চেয়ে গত ৩১/০৮/২০২০ তারিখে বাদল হলদার মৎস্যজীবিদের পক্ষে আইনগত ব্যবস্থা চেয়ে পাবনা জেলা প্রশাসক বরাবর আবেদন করেছেন। তার অনুলিপি বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরন করেন। উক্ত আবেদনের পেক্ষিতে রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর পাবনা সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গত ০৮/০৯/২০২০ তারিখে ০৫.৪৩. ৭৬০০. ০২৮.৪০.০১৪ (৩). ২০-১৪৮০ স্মারকে পত্র প্রেরক করেন। পানি কমতে শুরু হলেও মাছ শিকার না করতে পেরে ক্ষতির আশঙ্কায় রয়েছে লিজ গ্রহিতারা।
সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম জামাল আহম্মেদ উপজেলা সহকারী কমিশনার ভ’মিকে দায়িত্ব প্রদান করেন। এবিষয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ’মি) ফায়সাল রায়হান বলেন, তদন্ত পুর্ব প্রতিবেদন চলমান রয়েছে, অতিসত্তর আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।