নির্বাচনী আমেজে পরিপূর্ণ যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিটি প্রান্ত। তবে, নির্বাচনের পরে দেশে অস্থিরতা সৃষ্টি হবার সম্ভাবনা রয়েছে ভেবে শহরগুলির দোকান মালিকরা তাদের দোকানের জানালা, দরজায় বন্ধনী লাগিয়ে সাবধানতা অবলম্বন করা শুরু করেছে।
পুলিশের হাতে জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পরে, বিক্ষোভে থাকা লুটপাটকারীরা বহু ব্যবসায়ীর দোকানে লুট করার কয়েক মাস পর থেকেই এই প্রস্তুতি মূলত জোরদার করা হয়।
স্যাক্স ফিফথ অ্যাভিনিউ এর খুচরা বিক্রেতাদের মধ্যে নর্ডস্ট্রম এবং ফার্মাসি চেইন সিভিএস হ’ল সাবধানতা অবলম্বনকারী বৃহত্তম সংস্থাগুলির মধ্যে অন্যতম।
ধারণা করা হচ্ছে, এবারের নির্বাচন দেশটির আর্থিক বাজারে ব্যপক প্রভাব ফেলবে।
আজ মঙ্গলবারের নির্বাচনে, বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনকে সুস্থ নেতৃত্বের পরামর্শ দিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল পোল।
তবে, বাইডেনের হাতে থাকা কয়েকটি রাজ্যের সুইং ভোটারের সিদ্ধান্তই নির্বাচনের ফলাফল বদলে দিতে পারে। এবার কী পরিমাণ ভোট গণনা করা হবে তা নিয়ে অনেক রাজ্যেই ইতোমধ্যে আইনি বিতর্ক চলছে।
বিনিয়োগ ব্যাংক স্টিফেলের ওয়াশিংটন নীতি বিষয়ক কৌশলবিদ ব্রায়ান গার্ডনার বলেন, ২০০০ সালে ফ্লোরিডায় ভোট পুনর্বার গণনা মার্কিন নির্বাচনের ফলাফল সম্পর্কে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছিল, ফলে আর্থিক বাজারগুলি তখন প্রায় ৫% হ্রাস পায়।
গার্ডনার এবারের নির্বাচনে বাইডেনের বিজয়ের পূর্বাভাস দিলেও ফলাফল নিয়ে যে প্রশ্ন তা হিংস্রতার যে কোনও প্রাদুর্ভাবে ধীরে ধীরে পতিত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন।
গত সপ্তাহে, ওয়ালমার্ট নাগরিকদের উদ্বেগের কারণ উল্লেখ করে দেশটির হাজার হাজার দোকানের প্রদর্শনী স্থান থেকে বন্দুক এবং গোলাবারুদ সাময়িকভাবে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত দিলেও, তার একদিন পরেই এই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন।
সম্প্রতি, অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্র বিষয়ক বিভাগ তার ভ্রমণ পরামর্শগুলি আপডেট করেছে এবং সহিংসতা হতে পারে ভেবে কিছুটা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের ক্ষেত্রে নাগরিকদের সতর্ক করা হয়েছে।
সেখানে, নির্বাচনের মরসুমে নিরাপদ থাকতে সতর্কতা অবলম্বন এবং যেসব অঞ্চলে প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ চলছে সেসব জায়গা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
৯৬ মিলিয়নেরও বেশি আমেরিকানবাসী ইতিমধ্যেই তাদের ভোট অগ্রীম প্রদান করে ফেলেছে।