মোঃ আবেদ আলী, বীরগঞ্জ (দিনাজপুর) প্রতিনিধি ॥ বীরগঞ্জে শীর্ষ দুর্নীতিবাজ খালেক চেয়ারম্যান কর্তৃক সমিতির ১০ ইউপি চেয়ারম্যানের সাথে প্রতারনা করেছে।
অভিযোগের তদন্তের স্বার্থে ১১জন ইউপি চেয়ারম্যান বিভিন্ন স্থানে একাধিকবার গোপন বৈঠক করে তৎকালিন ঘুষখোর, দুর্নীতিবাজ ইউএনও মোঃ ইয়ামিন হোসেনের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা ও ঘুষ-দূর্নীতির ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত গ্রহন করে ১০জন ইউপি চেয়ারম্যান অভিযোগে স্বাক্ষর করেন। কিন্তু বিএনপি নেতা আওয়ামী লীগে অনুপ্রবেশের চেষ্টাকারী হাইব্রীড নেতা, নিজপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান খালেক ঐক্যবদ্ধ সিদ্ধান্ত থেকে সরে গিয়ে অভিযোগে স্বাক্ষর না করে প্রতারনার আশ্রয় নেয় এবং তৎকালিন দুর্নীতিবাজ ইউএনও’র সাথে হাত মিলিয়ে ব্যাপক অনিয়ম, সেচ্ছাচারিতা ও সীমাহীন ঘুষ-দূর্নীতি করেছে এবং উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সাথে প্রতারনা করেছে।
প্রেরিত অভিযোগে সীলমোহর যুক্তস্বাক্ষর করেন শিবরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান জনক চন্দ্র অধিকারী, মোঃ জুয়েলুর রহমান (পলাশবাড়ী ইউপি), কেএম কুতুব উদ্দিন (শতগ্রাম ইউপি), তহিদুল ইসলাম (পাল্টাপুর ইউপি), মহেশ চন্দ্র রায় (সুজালপুর ইউপি), গোপাল চন্দ্র দেবশর্ম্মা (মোহাম্মদপুুর ইউপি), আলহাজ্ব বদিউজ্জামান পানা (ভোগনগর ইউপি), প্রভাষক আলহাজ্ব রেজাউল করিম শেখ, (সাতোর ইউপি), মজিদুল ইসলাম (মোহনপুর ইউপি) ও আতাহারুল ইসলাম চৌধুরী হেলাল (মরিচা ইউপি)’র চেয়ারম্যানগন জানান, উপজেলার ১০ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের লিখিত অভিযোগ গণপ্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্র্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও সচিব বরাবর তৎকালিন ঘুষখোর দুর্নীতিবাজ ইউএনও মোঃ ইয়ামিন হোসেনের বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ জনপ্রশাসন মন্ত্রণাণয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন ও সচিব বরাবর ইমেইলযোগে প্রেরন করা হয়।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয় ইউএনও মোঃ ইয়ামিন হোসেন এ উপজেলায় যোগদানের পর থেকে ব্যাপক অনিয়ম, ঘুষ বানিজ্য, স্বেচ্ছাচারীতা ও নানা অপকর্মে জড়িয়ে পরেন। উপজেলা ক্যা›পাসের লক্ষ লক্ষ টাকা মূল্যের একটি বিশাল বিল্ডিং (রাষ্ট্রিয় সম্পদ) ভেঙ্গে ইট, কাঠ, রড, ওই ক্যাম্পাসের বিভিন্ন প্রজাতির বিশাল বিশাল পুরাতন গাছ কেটে চোরাই পথে বিক্রিকালে জনতা আটক করে। ৯৯৯-এ সংবাদ দিলে এসআই আমজাদ হোসেন গত ১১ সেপ্টে’২০১৯ এক প্লাটুন পুলিশ উপজেলা’র মেইন গেটে পাচারকৃত রডের ভ্যান সহ জব্দ করেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১০টি পুরাতন ভবন গোপন চুক্তিতে নামমাত্র মূল্যে টেন্ডার ছাড়াই এটিও মিনহাজুল হকের মাধ্যমে হাতিয়ে নেন কয়েক ২০ লাখ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরের এডিপি’র বরাদ্দের ২০/২১ লাখ টাকা বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারগনের নামে প্রকল্প দেখিয়ে বরাদ্দের সমুদয় টাকা আত্মোসাত করেন। এ ছাড়া বিগত ঈদুল ফিতরের সময় ১১০ বস্তা ভিজিএফ চাল বিতরন না করে আত্মোসাত করেন। দফাদার ও মহল্লাদার নিয়োগে ঘুষ লেনদেন করে হকদারকে বঞ্চিত করা হয়েছে, বিভিন্ন জাতীয় দিবস সমুহে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, ইটভাটা, এনজিও, মিলার, বিসিআইসি ডিলারদের নিকট চাঁদা আদায় ও আত্মোসাত করেন, শীতবস্ত্র বিতরনের জন্য প্রতিবার ব্যবসায়ীদের নিকট মোটা অংকের চাঁদা উত্তোলন করে আত্মোসাত করেন। দূর্নীতির প্রতিবাদ করলে জনপ্রতিনিধিদেরকে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে সাজা দেয়ার হুমকি দেন। নিরীহ সাধারন মানুষকে হয়রানী করেন এবং সেখানেও উৎকোচ আদায় করা হয়।
চলতি মহামারী করোনা ভাইাস মোকাবিলার জন্য ইউপি চেয়ারম্যান/ইউপি সদস্যদের মাধ্যমে বিরনের জন্য সরকারী বরাদ্দ (৩টি প্রকল্পের) ২১শত মাক্স, ৬শত হেক্সাসল, ৩৬৮ কেজি ব্লিসিং পাউডার, পিপিই ও স্প্রে মেশিন সরকারী বরাদ্দ জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে বিতরন না করে আত্মসাত করেছে। তৎকালিন ইউএনও মোঃ ইয়ামিন হোসেন যোগদানের পর থেকে সীমাহীন দূর্নীতি অত্যাচার ও নির্যাতনে আমরা জনপ্রতিনিধি সহ এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। তার যাবতীয় অপকর্মের কথা গত ২৪/১০/১৯ তারিখে উপজেলার সম্বয়সভায় জাতীয় সংসদ সদস্য মনরঞ্জন শীল গোপালের কাছে অভিযোগ করা হলেও কোন সুরাহা হয়নি।
উপজেলা চেয়ারম্যান মোঃ আমিনুল ইসলাম, উপজেলা চেয়ারম্যান সমিতির সভাপতি আতাহারুল ইসলাম চৌধুরী হেলাল (মরিচা ইউপি চেয়ারম্যান), সাধারন সম্পাদক প্রভাষক আলহাজ্ব রেজাউল করিম শেখ (সাতোর ইউপি চেয়ারম্যান) ও সাংগঠনিক সম্পাদক গোপাল চন্দ্র দেব শর্ম্মা (মোহাম্মদপুর ইউপি চেয়ারম্যান) বলেন, অভিযোগকারীদের অভিযোগ সত্য এবং যৌক্তিক। বিষয়টি খতিয়ে দেখার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের জরুরি হস্তক্ষেপের দাবি জানান তারা।