ঈশ্বরদী (পাবনা) সংবাদদাতাঃ
পরকীয়ার জের ধরে ঈশ্বরদীতে ইছাহক আলী ইছা (২৭) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। শনিবার (৩১ অক্টোবর) গভীর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাপাতালে মারা যান ইছা। সে ঈশ্বরদীর সাঁড়া ইউনিয়নের সিভিলহাট এলাকার দুলাল হোসেনের ছেলে। সিভিলহাট তালতলা মোড়ে কাপড় ও টেইলার্স ইছার ব্যবসা রয়েছে। ঈশ্বরদী থানার অফিসার ইনচার্জ সেখ নাসীর উদ্দিন পিটিয়ে হত্রার ঘটনা নিশ্চিত করেছেন।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সাঁড়ার ব্লকপাড়া এলাকার বিধবা খালেদার (২৮) সাথে পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক ছিল ইছার। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ওই নারীর সাথে দেখা করতে যেয়ে একসাথে ঘরে কিছু সময় কাটায়। এক পর্যায়ে ইছার সাথে খালেদার কোন বিষয় নিয়ে কথা কাটাকাটি শুরু হয়। কথা কাটাকাটির আউয়াজ বাইরে গেলে বাড়ির স্বজনরা ইছার উপস্থিতি টের পেয়ে যায়। এই পর্যায়ে খালেদার ভাই রবিউল (২৮) লাঠি নিয়ে ঘরের বাইরে ওঁত পেতে থাকে। ইছা ঘর হতে বের হওয়ার সাথে সাথে তাকে লাঠি দিয়ে বেধরক মেরে গুরুতর আহত করে। আহত অবস্থায় ইছাকে প্রথমে ঈশ্বরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবণতি হলে তাঁকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রাজশাহী মেডিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত শনিবার গভীর রাতে ইছা মারা যায়।
জানা যায়, প্রায় ৫ বছর আগে খালেদার স্বামী মারা গেলে সে বিধবা হয়ে বাবার বাড়িতে বসবাস করছিল। তার একটি মেয়ে রয়েছে। এরই মধ্যে ইছার সাথে খালেদার পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে।
ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির জানান, মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে পুলিশ আসামী গ্রেফতারের জন্য তৎপরতা চালাচ্ছে। রাতেই খালেদাকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। ইছার পরিবারের পক্ষ হতে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।