নিজস্ব প্রতিনিধিঃ জলাতঙ্ক রোগ প্রধানত কুকুরের কামড় বা আঁচড়ের মাধ্যমে ছড়ায়। এ এক মরণব্যাধি। এই রোগ নিয়ে জনমনে আতঙ্ক রয়েছে। সেই আতঙ্ক থেকেই কুকুর সম্পর্কে মানুষের বিরূপ ধারণা তৈরি হয়েছে। দেশকে জলাতঙ্কমুক্ত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় যৌথভাবে জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচি হাতে নেয়। কর্মসূচির অংশ হিসেবে সারাদেশের ৬৪টি জেলায় ৬৭টি জলাতঙ্ক নিয়ন্ত্রণ ও নির্মূল কেন্দ্র চালু রয়েছে, যেখানে কুকুর সহ অন্যান্য প্রাণির কামড় ও আচঁড়ের শিকার রোগীদের বিনামূল্যে টিকা দেয়া হয়। মানুষের পাশাপাশি ব্যাপক হারে কুকুর টিকাদান কর্মসূচির মাধ্যমে দেশে প্রায় সতের লক্ষ কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা প্রদান করা হয়েছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের জোন-১ এর ১৫-২১ নং ওয়ার্ডে শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) সকাল থেকে শুরু হয়েছে দ্বিতীয় রাউন্ড কুকুর ধরে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকাদান কার্যক্রম। সাতদিন ব্যাপি এ টিকাদান কার্যক্রম বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) পর্যন্ত চলবে।
রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এমডিভি এক্সপার্ট ডাঃ মোঃ কামরুল ইসলাম বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার বাস্তবায়নে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর ও ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের সহযোগিতায় জাতীয় জলাতঙ্ক নির্মূল কর্মসূচির অংশ হিসেবে কুকুরকে জলাতঙ্ক প্রতিরোধী টিকা প্রদান করা হচ্ছে। এই পর্বে আমরা ডিএসসিসির অঞ্চল-১ এ ব্যাপক হারে কুকুরকে টিকাদান কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে, কমপক্ষে ৭০ ভাগ কুকুরকে টিকা প্রদানের মাধ্যমে হার্ড ইমিউনিটি অর্জনের লক্ষে কর্মসূচিটি পরিচালিত হচ্ছে যা পর্যায়ক্রমে সমগ্র ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি কর্পোরেশনে বাস্তবায়ন করা হবে।