রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেছেন, যুব সমাজ জাতির প্রাণশক্তি, উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রধান নিয়ামক। তারা সাহসী, বেগবান, প্রতিশ্রুতিশীল, সম্ভাবনাময় ও সৃজনশীল। বাংলাদেশের ইতিহাসে যুবদের বীরত্বপূর্ণ অবদান ও মহান আত্মত্যাগ চির অম্লান হয়ে থাকবে।
শনিবার তিনি ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস-২০২০’ উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে এ কথা বলেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, “দেশের যুবসমাজের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এ বছরও ১ নভেম্বর ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবস-২০২০’ উদযাপিত হচ্ছে জেনে আমি অত্যন্ত আনন্দিত। এ বছর বঙ্গবন্ধু জাতীয় যুব দিবসের প্রতিপাদ্য ‘মুজিববর্ষের আহ্বান, যুব কর্ম কর্মসংস্থান ’ সময়োপযোগী ও যথার্থ হয়েছে বলে আমি মনে করি।”
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহ্বানে মুক্তিসংগ্রামের দীর্ঘ পথপরিক্রমায় এদেশের যুব সমাজ ত্যাগ, তিতিক্ষা ও আত্মোৎসর্গের বিনিময়ে ১৯৭১ সালে ছিনিয়ে আনে স্বাধীনতার লাল সূর্য।
রাষ্ট্রপতি আরও বলেন, মূলত বাংলাদেশের ইতিহাস যুবদের গৌরবময় অবদানে ভাস্বর। বায়ান্নর ভাষা আন্দোলন, স্বাধিকার আন্দোলন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, গণতান্ত্রিক আন্দোলনসহ জাতির বিভিন্ন সংকট উত্তরণে যুব সমাজের অবদান জাতি কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করবে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের মোট জনসংখ্যার বৃহৎ অংশই যুব সমাজ। আগামী ২০৪৩ সাল পর্যন্ত যুব সমাজের সংখ্যাগত আধিক্যের এ ধারা অব্যাহত থাকবে। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে রূপান্তর ও জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা ২০৩০ অর্জন করতে এ জনমিতিক সুবিধাকে কাজে লাগাতে হবে।
রাষ্ট্রপতি বলেন, এজন্য আমাদের যুব সমাজকে পরিপূর্ণ দক্ষ ও মানবিক করে গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। তাদেরকে পশ্চাদপদতা, কুসংস্কার, মাদক, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ থেকে দূরে রেখে আধুনিক, বিজ্ঞানমনস্ক, পরমতসহিষ্ণু, উদার ও নৈতিকতা সম্পন্ন ও বিবেকবান মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।
দেশপ্রেমের মূলমন্ত্রে উজ্জীবিত হয়ে যুব সমাজ দেশগঠনের কাজে নিজেদের আরো বেশি নিবেদিত করবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করে তিনি। রাষ্ট্রপতি যুব সমাজকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও প্রাণঢালা অভিনন্দন জানান এবং এ উপলক্ষে নেয়া সকল কর্মসূচির সাফল্য কামনা করেন। বাসস।