দুর্গোৎসবের মহা নবমীতে বিপুল উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে আজ রবিবার (২৫ অক্টোবর) কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সনাতন ধর্ম মতে, কুমারী হচ্ছে শুদ্ধতার প্রতীক। দেবী দুর্গার আরেক নাম কুমারী। এই পূজার মাধ্যমে দেবী স্বয়ং মানুষের ভেতরে বিকশিত হন। তাই শঙ্খ, ঘণ্টা আর উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে জাঁকজমকপূর্ণভাবে দুর্গা দেবীকে কুমারী রূপে অর্ঘ্য প্রদান করা হয়।
দুর্গাপুর পৌর শহরের কুল্লাগড়া রামকৃষ্ণ আশ্রমে রোববার (২৫অক্টোবর) বেলা ১১টায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয় কুমারী পূজা। এবছর কুমারী হিসেবে উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের খুজিগড়া গ্রামের সুরঞ্জিত হাজং এর নয় বছরের মেয়ে মঞ্জুশ্রী হাজং কে পূজা করেছেন ভক্তরা।
তুষার সাহা নামে এক ভক্ত জানান, কুমারীকে দেবীজ্ঞানে আজ তারা পূজা করেছেন। করোনা মহামারির এসময় পরিবারের সবাই একসঙ্গে সুস্থ থেকে প্রার্থনা করতে পারায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন তিনি। একইসঙ্গে দেবীর প্রস্থানের সঙ্গে করোনা মহামারির অবসান হবে সেই প্রার্থনাও করেছেন বলে জানান তিনি।
এদিকে রামকৃষ্ণ আশ্রমের সাধারন সম্পাদক প্রভাত চন্দ্র সাহা বলেন, ‘প্রতিটি নারীর মধ্যে দেবী মা দুর্গা বিদ্যমান। ফলে নারীকে ভোগের নয়, শ্রদ্ধার দৃষ্টিতেও দেখতে হবে। তাহলে সব পাপাচার বন্ধ হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পাখি যেমন একটি পাখায় ভর করে উঠতে পারে না, তেমনি সমাজও কেবল পুরুষ দ্বারা চালানো সম্ভব নয়। সামাজিক ভারসাম্য বজায় রাখতে নারী ও পুরুষ একসঙ্গে চলতে হবে। নারীকে তাদের প্রাপ্য সম্মান, শ্রদ্ধা ও অধিকার দিতে হবে। এবারের কুমারী পূজায় আমরা পুরুষদের সেই মেসেজটা দিতে চাই।