রাবি প্রতিনিধিঃ
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) উপাচার্য প্রফেসর ড. এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. চৌধুরী মো. জাকারিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. এম এ বারীর বিরুদ্ধে ওঠা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাৎ, স্বজনপ্রীতি, টাকার বিনিময়ে শিক্ষক নিয়োগসহ বিভিন্ন অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তদন্ত করে এসব অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে। এদিকে উপাচার্যের বিরুদ্ধে এই তদপ্ত বন্ধের দাবিতে গণস্বাক্ষর করেছে রাবি শাখা ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতাকর্মীরা। তাদের দাবিবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগে ইউজিসির পক্ষপাতমূলক তদন্ত করছে। আর তাই অবিলম্বে উক্ত তদন্ত কার্যক্রম বন্ধের দাবিতে ক্যাম্পাসে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি পালন করেন তারা। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিষয়টি জানান রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহফুজ আল-আমিন।
সপ্তাহব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কর্মসূচি পালন করে নেতাকর্মীরা। গণস্বাক্ষর কর্মসূচিতে সাবেক ও বর্তমান ১ হাজার ৫৭৬ জন শিক্ষার্থী স্বাক্ষর করেছেন বলে জানান কর্মসূচির সমন্বয়ক ও রাবি শাখা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মাহফুজ আল-আমিন।
ইউজিসির পক্ষপাতমূলক তদন্ত কার্যক্রম বন্ধে গণস্বাক্ষর কর্মসূচির সমন্বয়ক মাহফুজ আল-আমিন বলেন, ‘আমরা গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছি যে, বহুল আলোচিত সাবেক উপাচার্য প্রফেসর মুহাম্মদ মিজান উদ্দিনের সময় ঢাকাস্থ রাবি’র অতিথি ভবন ক্রয়ে ১৩ কোটি টাকা, রাবি কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের হেকেপ প্রকল্পের সাড়ে ৩ কোটি টাকা এবং রাবি শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলক নির্মাণে ৮০ লক্ষ টাকার আর্থিক অনিয়ম-দুর্নীতির সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত কিছু স্বার্থান্বেষী শিক্ষক নিজেদের অপকর্ম আড়াল করতে ১/১১ তে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী, জননেত্রী শেখ হাসিনার মুক্তির আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়ার কারণে রিমান্ডসহ ১০৪ দিন কারাবন্দী থাকা বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান- এর মর্যাদাহানি এবং তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন ও বিব্রত করার অসৎ উদ্দেশ্যে তাঁর বিরুদ্ধে নিরন্তর মিথ্যা, বানোয়াট, মনগড়া ও ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করে চলেছেন। অত্যন্ত বিস্ময় ও পরিতাপের বিষয় এই যে, অভিযোগকারীদের বিরুদ্ধে উত্থাপিত কোটি কোটি টাকার আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ বিষয়ে কোন পদক্ষেপ না নিলেও রহস্যজনক কারণে অতি উৎসাহের সাথে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) বর্তমান উপাচার্যের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক তদন্ত কমিটি গঠনপূর্বক ঢাকায় গণশুনানির আয়োজন করে। দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও উত্তরবঙ্গের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই গণশুনানী অত্যন্ত অবমাননাকর, মানহানিকর ও অসম্মানজনক বলে আমরা এই প্রাণপ্রিয় শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীবৃন্দ মনে প্রাণে বিশ্বাস করি।’