মোঃ নূরুল ইসলাম, চাটমোহর, পাবনা ঃ
পাবনার চাটমোহরের পৌর শহরের রাস্তাঘাট, হাটবাজার ও পাড়া-মহল্লায় বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বেড়ে গেছে। পৌর শহরের মহল্লায় ছাগল,
মুরগী ও পথচারী শিশুদের কুকুর ধাওয়া করছে অবিচারে। জনসাধারণ নিত্যদিনের কাজকর্মে পথ চলাচলে সংকিত ও দূর্ঘটনার স্বীকার হয়ে পড়েছেন। এ কারণে আতঙ্কের মধ্যে আছেন শহরের বাসিন্দারা।
ভাদ্র-আশ্বিন মাস কুকুর প্রজননের মৌসুম। নানাবর্ণের ছোট-বড় বেওয়ারিশ কুকুরের উন্মুক্ত চলাচলসহ উপদ্রব দিনদিন বেড়েই চলছে।
কুকুরগুলো সড়কের উপর লাইন ধরে জটলা বেধে চলাচল করে জনসাধারণকে আক্রমনণ করার জন্য ঘেউ ঘেউ করে তেড়ে আসে। বিশেষ করে
বাইসাইকেল, মোটরসাইকেল, প্রাইভেটকার ও ব্যাটারী চালিত ভ্যান, পথোচলা কোমল মতি শিশু কিশোররা এ বিষাক্ত প্রাণীর আক্রমনসহ দূর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।
সরেজমিনে ঘুরে ও শহরবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, হানুফা মেমরিয়াল চক্ষু হাসপাতালের সামনে, চাটমোহর পাইলট সকাররী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, জার্দিস মোড়, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সামনে,
নতুন বাজার, হাড়ান মোড়, ভাদুনগর, বালুচর ঐতিহাসিক খেলার মাঠ, জিরো পয়েন্ট, চাটমোহর পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের গেটের
সামনে, পাঠান পাড়া, হাসপাতাল গেট, বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন এলাকায় কুকুরের উৎপাত সবচেয়ে বেশি।
গত কয়েকদিন যাবৎ দেখা যাচ্ছে, চাটমোহর পৌর অফিসের সামনে, চাটমোহর প্রেসক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক, দৈনিক ‘ভোরের
ডাক’ প্রত্রিকার চাটমোহর সংবাদদাতা মো. নূরুল ইসলাম মাস্টারের বাড়ির মোড়ে ও নতুন বাজার খেয়া ঘাটে কুকুরের দল ঘোরাঘুরি করছে।
কুকুরের আতঙ্কে শিশু ও পথচারীরা ভয় পাচ্ছে। পৌর শহরের শিক্ষার্থীরা ও পথচারীরা স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পাবছে না। নতুন বাজারের মাংস ব্যবসায়ী আব্দুল গণি বলেন, মাংসের দোকানের সামনে সারাক্ষণ ১০-১২ টি কুকুর আনাগোনা করে। যেকোনো সময় কামড়াতে পারে-এ আশঙ্কা নিয়ে আমাদের মাংস কেনাবেচা করতে হচ্ছে।
চাটমোহর সরকারী ডিগ্রী (অনার্স) কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী
মোছা. শাহানাজ পারভিন বলে, কলেজের ভেতরেই সব সময় ৫-৬ টি কুকুর
ঘোরাঘুরি করে। কুকুরের জন্য খেলাধুলা করতেও ভয় লাগে, চাটমোহর মহিলা ডিগ্রী কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী মোছা. সুমাইয়া অরিন বলে, কলেজের ভেতর ও গেটে কুকুরের আনাগোনাতে কলেজে ঢুকতে ভয় লাগে।
এ বিষয়ে পৌর মেয়র মির্জা রেজাউল করিম দুলাল’র মুঠোফোনে ফোন দিয়ে কথা বললে তিনি বলেন, পৌর শহরে কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে এটা
সত্য। কিন্তু পরিবেশবাদীদের রিটের জন্য আমরা কুকুর নিধন করতে পারছি না। এ কারণে পৌরবাসীকে নিজেরাই সতর্ক হয়ে চলতে হবে।
চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. সৈকত ইসলাম বলেন, কোন প্রাণিকে নিধনের বিষয়ে বিদ্যমান কোন আইন নেই তবে গৃহপালিত
কুকুর ও বিড়াল যারা পালন করেন তাদের উচিৎ প্রাণিগুলোকে উন্মুক্ত ছেড়ে না দেয়া। এক্ষেত্রে জনসাধারণের জন্য হুমকী ও ক্ষতিকারক এমন হিং¯্র প্রাণির উপদ্রব হলে বন্যপ্রাণী বিশেষজ্ঞদের সহযোগীতায় ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে।