রাবি লাইভ:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগে জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করে সভাপতি নিয়োগ কেন অবৈধ হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। বিচারপতি জেবিএম হাসান এবং বিচারপতি মো. খাইরুল আলমের সমন্বয়ে হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর জারি হওয়া এ রুলের কপি গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে পাঠানো হয়।
ক্রপ সায়েন্স বিভাগে সভাপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগে বিভাগের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক মু. আলী আসগরের রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে উচ্চ আদালত রুল জারি করেন। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবাহান, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারী, ক্রপ সায়েন্স বিভাগের নিয়োগপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক মো. আবুল কালাম আজাদসহ ৫ বিবাদীকে ১০ কর্মদিবসের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
রুলে ক্রপ সাইন্স বিভাগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সভাপতি নিয়োগ কেন আইনগত কর্তৃত্ব বহির্ভূত হবে না ও হাইকোর্ট কেন রিট আবেদনকারীকে সভাপতি হিসেবে নিয়োগ দানের আদেশ প্রদান করবেন না তা জানতে চাওয়া হয়েছে।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে রিটের শুনানি করেন আইনজীবী আমিনুল হক হেলাল। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এবিএম আলতাফ হোসাইন।
জানা যায়, ক্রপ সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের সভাপতি নিয়োগে জ্যেষ্ঠতার নিয়ম লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৭৩ অনুযায়ী সভাপতি হওয়ার কথা ছিলো অধ্যাপক ড. মু আলী আসগরের। কিন্তু চলতি বছরের ৯ মে অপেক্ষাকৃত জুনিয়র অধ্যাপক মো. আবুল কালাম আজাদকে বিভাগের সভাপতি নিয়োগ দেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
নিয়োগের বিরুদ্ধে অধ্যাপক ড. মু. আলী আসগর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। রিটের প্রেক্ষিতে গত ৭ জুলাই বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিমের ভার্চুয়াল আদালত সভাপতি নিয়োগে স্থগিতাদেশ প্রদান করেন।
পরে এ আদেশের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আপিল বিভাগে আবেদন করেন। গত ২৩ আগস্ট প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ ভার্চুয়াল হাইকোর্টের আদেশ বহাল রেখে হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে রিট আবেদনের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহার আদেশ প্রদান করেন।
আপিল বিভাগের আদেশ অনুযায়ী অধ্যাপক মু. আলী আসগর হাইকোর্টের নিয়মিত বেঞ্চে রিট আবেদন করেন। গত ২৭ সেপ্টেম্বর রিটের শুনানি শেষে আদালত বিবাদীদের বিরুদ্ধে এ রুল জারি করলেন।#